১৭৯৯ ফিলিস্তিনকে ইহুদিদের আবাস বলে প্রস্তাব করেন নেপোলিয়ন
১৮৮২ রিশোন লি যায়ন নামে প্রথম ইয়াহুদিদের আবাসন।
১৮৮৫ যায়ন-বাদ শব্দের প্রথম ব্যবহার।
১৮৯৬ ইহুদিদের আলাদা আবাসের দাবি সংবলিত থিউডর হার্জেল এর বই “ইহুদীর দেশ” প্রকাশিত হয়।
১৮৯৭ সুইজারল্যান্ডে প্রথম ইহুদীদের কংগ্রেস। প্রথম ইহুদীদের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।
১৯০৭ হাইম ভ্যাইজমেন প্রথমবার ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
১৯০৮ ইহুদিবাদী উপনিবেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথম ফিলিস্তিনি পত্রিকা প্রকাশ করেন নাজিব নাসের।
১৯১৫ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য যায়নবাদী হারবার্টস্যামুয়েল “ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত” বইটি প্রকাশ। সংসদের সদস্যদের কাছে ফিলিস্তিনে ইহুদী-রাজ্য প্রতিষ্ঠায় গোপন স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
১৯১৬ মধ্যপ্রাচ্যকে দুভাগে বিভক্ত করার সাইকিস-পিকোট নামে ফ্রান্স-ব্রিটেনের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক গোপন চুক্তি সম্পন্ন।
১৯১৭ বেলফোর চুক্তি সম্পন্ন। ব্রিটেন সরকারের ইহুদীদের জন্যে আরব দেশে জাতীয় আবাস গড়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান।
১৯১৯ ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত নির্ধারণে ওয়াশিংটনে হেনরি চার্চিল – চার্লস ক্রেন কমিশন গঠন।
১৯২২ ফিলিস্তিন বিষয়ে জাতিসংঘে ব্রিটেনের ইহুদীদের জন্যে আলাদা আবাসের প্রস্তাব পাশ।
১৯২৯ ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসন খুব বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনবাসী গণবিক্ষোভে ফেটে প্রে, এই বিক্ষোভ আল-বোরাক নামে পরিচিত।
১৯৩৩ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের অবৈধ-অভিবাসনের প্রতিবাদে আবারো বিরাট বিক্ষোভপ্রদর্শিত হয়।
১৯৩৫ ব্রিটিশ বাহিনীর হামলায় ইজ্জ আদ-দ্বীন আল ক্বাসেম নামের একজন বিপ্লবী নেতা নিহত হন।
১৯৩৬ ইহুদি-আবাসনের প্রতিবাদে আবারো টানা দীর্ঘ ছয়মাসের অবরোধ ঘোষণা।
১৯৩৭ লর্ড পিল কতৃক পিল কমিশন গঠন এবং ঘোষণা-মত ইহুদীদের আবাসনের জন্যে ফিলিস্তিনের নিজেদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ।
১৯৩৮ ইরগুন নামে ইহুদী সশস্ত্র বাহিনীর ফিলিস্তিনে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালনা।
১৯৩৯ তিন বছর দীর্ঘ ব্রিটিশ-বিরোধী বিদ্রোহের সমাপ্তি।
১৯৪২ বিল্টমোর হোটেলে যায়নবাদীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সভা-সম্পন্ন।
১৯৪৬ কিং ডেভিড হোটেলে ইরগুন সংগঠনের পুনরায় হামলা, কমপক্ষে ৯১ জনের প্রাণহানি।
১৯৪৭-১৯৪৯
১৯৪৭ জাতিসংঘ ‘রেজুলেশান ১৮১’ এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন-ভাগের পরিকল্পনা। ফিলিস্তিনবাসী সেটি অস্বীকার করে।
১৯৪৮ ইজরাইলী উগ্র গ্রুপের ফিলিস্তিন হোটেলে হামলা, বিশ জনের বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মে মাসে ইজরাইল রাষ্ট্রের উদ্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সমর্থন।
ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নতুন রেজুলেশোন পাশ, ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজেদের জায়গা ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ।
১৯৪৯ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ইজরাইলের সাথে মিশর, লেবানন, জর্ডান এবং সিরিয়ার অস্ত্র-চুক্তি সম্পন্ন।
ডিসেম্বর মাসে ফিলিস্তিনি শরনার্থীদের সাহায্যের জন্যে জাতিসংঘের UNRWA প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫০-১৯৬৭
১৯৫৬ আবার ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি গ্রামে ইজরাইলের হামলা।
১৯৬৪ মিশরের কায়রোতে PLO(Palestine Liberation Organization) প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৬ ফিলিস্তিনের আস-সামু গ্রামে ইজরাইলের আবার হামলা।
১৯৬৭ ইজরাইল ফিলিস্তিনের আরো গুরুত্বপুর্ন নানা অঞ্চল গাজা, পশ্চিম তীর, গোলান এবং সিনাই অঞ্চল দখল করে নেয়। দখলকৃত অঞ্চল ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ-সম্বলিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশোন-২৪২ পাস।
১৯৬৮-১৯৯২
১৯৭০ জর্দানে ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ খ্যাত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের উপর ইজরাইল সৈন্যদের হামলা।
১৯৭৩ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলেশন-৩৩৮ পাশ এবং চলমান ‘অক্টোবর যুদ্ধ’ এ বিরতি ঘোষণা, ইজরাইলী দখলকৃত জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার পুনরায় আদেশ।
১৯৭৪ ফিলিস্তিনি-জনগনের মুখপাত্র হিসাবে PLO কে আরবলীগের সমর্থন।
১৯৭৬ ফিলিস্তিনের হেক্টরের উপর হেক্টর জমি দখল করে নেয় ইজরাইল। এই বছরের ৩০শে মার্চ দিনটি ফিলিস্তিনিরা আজও ‘ভূমি-দিবস’ হিসেবে পালন করে।
১৯৭৮ ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি নামে ইজরাইল-মিশরের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পাশ।
১৯৮২ লেবাননে ইজরাইলী হামলা। ফিলিস্তিনি জনগনের সাথে জাতিসংঘের একতা প্রকাশে বিশেষ দিবস উদযাপন।
১৯৮৭ প্রথম ইন্তিফাদার প্রকাশ।
১৯৮৮ ইজরাইলকে জাতিসংঘের ২৪২ এবং ৩৩৮ রেজ্যুলেশানের মাধ্যমে পৃথক রাষ্ট্র হিসাবে দেওয়া স্বীকৃতি মেনে নেয় পিএলও।
১৯৯১ বিফল মাদ্রিদ শান্তি-বৈঠকের সমাপ্তি।
১৯৯২ ছোটখাট নানান ব্যর্থ উদ্যোগ গ্রহণ।
১৯৯৩-২০১৭
১৯৯৩ পিএলও এবং ইজরাইলের মধ্যে অসলো-১ স্বাক্ষর সম্পন্ন।
১৯৯৫ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং গাজায় কিছুটা স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে অসলো-২ এ স্বাক্ষর সম্পন্ন।
১৯৯৭ হেবরন থেকে ইজরাইলের সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যবস্থা সম্পন্ন।
২০০০ ক্যাম্প ডেভিড-২ নবায়ন।
২০০২ পুনরায় ফিলিস্তিনে ইজরাইলের হামলা। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার ডাক।
২০০৪ ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু।
২০০৫ পুনরায় ইজরাইলের সৈন্য “প্রত্যাহার”।
২০০৬ লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ইজরাইলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ।
২০০৮ “অপারেশন কাস্ট লীড” এর নামে ইজরাইলের গাজা অভিমুখে হামলা।
২০১২ পুনরায় গাজায় ইজরাইলের হামলা।
২০১৪ ১৯৬৭ সালের পর সবচেয়ে বড় হামলা গাজায়, অপারেশনের নাম দেয় ইজরাইল “অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ”।
২০১৫ ইজরাইলে নেতানিয়াহু পুনরায় নির্বাচিত হন।
২০১৬ জাতিসংঘের ইজরাইলের দখলের বিরুদ্ধে আহবান করা বৈঠক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকা।
২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের দুই-রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে এক-রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান ঘোষণা।
মে মাসের শুরুতে হামাসের দুই-রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রথমবারের মত সমর্থনের ঘোষণা।
ডিসেম্বরের শুরুতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দূতাবাস স্থানান্তরের আদেশ।
২০১৮ মে মাসের ১৪ তারিখে ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করে জেরুজালেমে কার্যক্রম চালু করে। এর প্রতিবাদে গাজায় চলমান বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা।