রিয়াল মাদ্রিদ ১ – ১ অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ
রোনালদো ৫৩’ গ্রিজম্যান ৫৭’
• ২০১৮ সালে ১৪ ম্যাচে রোনালদোর গোল ২৪ টি
• রিয়ালের দুইটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ রেফারি জাভিয়ের এস্ত্রাদার
• মার্সেলোর শ্যুট বারে লেগে প্রতিহত
স্কোয়াড
রিয়াল মাদ্রিদ (৪-৪-২)
নাভাস, কার্ভাহাল, ভারান, রামোস, মার্সেলো, লুকাস, ক্রুস, কোভাচিচ, অ্যাসেন্সিও, বেল, রোলানদো
সাব : বেনজেমা-রোনালদো, ইস্কো-অ্যাসেন্সিও, মদ্রিচ-কোভাচিচ
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ (৪-৪-২)
ওবলাক, হুয়ানফ্রান, গডিন, সাভিচ, হার্নান্দেজ, ভিতোলো, থমাস, সল, কোকো, কস্তা, গ্রিজম্যান
সাব : কোরেয়া-ভিতোলো, গাবি-কস্তা, গামেরিও-থমাস
গোলকিপিং : উভয় দল একটি করে গোল খেলেও দুজনই বেশ চমৎকার খেলেছেন। প্রতিপক্ষের একাধিক সুযোগ নষ্ট করায় দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন দু দলের দুই গোলরক্ষকই। ওবলাক সব মিলিয়ে সেভ করেছেন ৭ টি শ্যুট। এবং নাভাস ৪টি। ম্যাচের সেরা সেভটি নাভাসের দখলেই। ৫৮ মিনিটে মাত্র ১২ গজ দূর থেকে নেয়া কোকের শ্যুটটি যেভাবে ঠেকিয়েছেন সেটি ছিলো অবিশ্বাস্য। তবে ওভারঅল বিচারে এ বিভাগে সেরা নিঃসন্দেহে ওবলাক।
ডিফেন্স : দু দলই চারজন করে ডিফেন্ডার নিয়ে খেললেও খেলার ধরণ ছিলো আলাদা। রিয়াল যেখানে হাই প্রেসিংয়ে খেলেছে সেখানে অ্যাথলেটিকো অনেকটাই ‘পার্ক দ্য বাস’ ট্যাক্টিস বেছে নিয়েছিলো রিয়ালকে আটকানোর জন্য। সে লক্ষ্যে যে তারা সফল সেটা তো ম্যাচের রেজাল্টই বলে দিচ্ছে। সরাসরি ঢুকতে না পারায় রিয়ালকে নির্ভর করতে হয়েছে উইংয়ের ওপর। আর সেখানে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন লুকাস হার্নান্দেজ। ৮টা ক্লিয়ারেন্সের সাথে ৩টা সফল ট্যাকলই বলে দিচ্ছিলো উইংয়ে এসে বারবার খেই হারাচ্ছিল কেন রিয়াল। অপর দিকে দিকে রিয়ালের ডিফেন্স ছিল টিম অ্যাফোর্ট। প্রেসিং করে দুই উইংব্যাক বারবার উপরে উঠে যাবার ফলে যে শূন্যস্থানটা তৈরি হচ্ছিল সেটা বেশ ভালোই সামাল দিয়েছেন রামোস-ভারান। যদিও গ্রিজম্যানের শ্যুটটি ভারান আরেকটু সতর্ক হলে হয়তো গোলটি হতো না।
মিডফিল্ড : মিডফিল্ডে স্পষ্ট আধিপত্য ছিলো রিয়ালের। ক্রুসের নেতৃত্বে চমৎকার খেলেছেন বাকিরা। যদিও গোলের সুযোগ সে অর্থে তৈরি করা যায়নি মাঝমাঠ দিয়ে, কিন্তু ক্রমাগত উইংয়ে বল জোগান এবং মাঝমাঠেই অ্যাথলেটিকোকে আটকে দিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে রিয়ালের মধ্যমাধ। বিশেষ করে লুকাস ছিলেন অসাধারণ। একদম শেষ মুহুর্তে গোড়ালির চোট নিয়েও যেভাবে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন সেটি অনুকরণীয়। অপরদিকে ভিতোলো একটি অ্যাসিস্ট করলেও অ্যাথলেটিকোর মাঝমাঠের প্রাণ ছিলেন থমাস। বল যোগান দেয়ার পাশাপাশি রিয়ালের আক্রমণ রুখতেও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। মাঝপথে বাস পার্ক করায় রিয়ালকে নির্ভর করতে হয়েছিল উইংয়ের ওপর। এবং মার্সেলো অসাধারণভাবে একের পর এক বল জোগান দিয়ে গেলেও এটিএম রক্ষণ দৃঢ়তা এবং মাদ্রিদ খেলোয়ারদের ব্যার্থায় গোলমুখ আর খোলেনি।
অ্যাটাক : দারুণ ছন্দে থাকা রোনালদো এ ম্যাচেও গোল পেয়েছেন বেলের ক্রস থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি ওবলাকের বিশ্বস্ত হাতের কারণে। গোল না পেলেও অ্যাথলেটিকোর রক্ষণের মূল পরীক্ষাটা নিয়েছেন বেল। কখনো উইং থেকে ক্রস, কখনো বা নিজেই চেষ্টা করে ব্যস্ত রেখেছিলেন এটিএম ডিফেন্সকে। অপর দিকে কস্তা একদমই নিষ্প্রভ থাকলেও সময়মতো জ্বলে ওঠে এটিএমকে প্রয়োজনীয় এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন গ্রিজম্যান। নিখুঁত পজিশন সেন্স এবং চমৎকার ফিনিশিংয়ে সিমিওনির মুখে হাসি ফোটান তিনি।
বদলি খেলোয়াড়দের ভূমিকা : এক লুকা মদ্রিচ ছাড়া দু দলের কারোই বদলি খেলোয়াড়রা সে অর্থে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। বিশেষ করে রোনালদোর বদলি হিসাবে বেনজেমার নামাটা ছিলো বিস্ময়কর। কিন্তু উভয়ের প্রতিক্রিয়াই বোঝা গিয়েছে এটি পূর্ব পরিকল্পিত।
সেট পিসে দূর্বলতা : ম্যাচে মোট কর্ণার হয়েছে ১৪টি। যার ১১টিই নিয়েছে রিয়াল। বলাই বাহুল্য এর একটিও গোলের মুখ দেখেনি
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ : গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
পয়েন্ট টেবিল : এ ম্যাচ শেষে ৩১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই রইলো এটিএম। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের অবস্থান তিনে।
১ thought on “ড্র হলো মাদ্রিদ ডার্বি : চলছে রোনালদোর গোলরথ”
কমেন্ট বন্ধ।