পুনঃতফসিল ঘোষণা, হামলাকারীদের বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন বর্জনকারী পাঁচটি প্যানেলের নেতাকর্মীরা। আজ দুপুর ১২টা থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
এর আগে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড় হতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণকালে “এক-দুই-তিন-চার—দালাল ভিসি গদি ছাড়”, “ভোট ডাকাতির নির্বাচন–মানি না, মানবো না”, “প্রহসনের নির্বাচন—মানি না, মানবো না” প্রভৃতি বলে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে জড় হয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র জোট থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করা অরণি সেমন্তি খান, স্বতন্ত্র জিএস পদে নির্বাচন করা এ. আর. এম. আসিফুর রহমান, উম্মে হাবিবা বেনজিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তবে নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলোর প্রায় সব নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও এসময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে উপাচার্য বাধ্য উল্লেখ করে স্বতন্ত্র জোট থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করা অরণি সেমন্তি খান সমাবেশে বলেন, “নির্বাচনের আগে আমরা অভিযোগ নিয়ে গেলে আমাদের বলা হয়েছিলো ‘লিখিত অভিযোগ দিন’। আমরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলাম, কোনও কাজ হলো না। আজ ভিসি আমাদের কথা শুনবেন। তিনি আমাদের কথা শুনতে বাধ্য। নইলে আমরা এখান থেকে যাবো না।”
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে একজনও নির্বাচিত হতে পারতো না দাবি করে উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, এত কারচুপির পর ও আখতার ও নুরকে ঠেকাতে পারিনি তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগের একজন প্রার্থীও জয়ী হতে পারতো না।
এ. আর. এম. আসিফুর রহমান বলেন, আমরা নির্বাচনের আগেরদিন বলেছিলাম মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। তবুও তারা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তারা বলছেন, “কিছু কিছু জায়গায় কারচুপি হতে পারে”, মূলত কারচুপির নির্বাচন হয়েছে সারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, রাশেদ খান, রাজীব দাস, ফয়সাল মাহমুদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।