গণভবনে গতকাল নুরের বক্তব্য তার পূর্বের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আন্দোলনের স্পিরিটের সাথে ‘দ্বিচারিতার’ শামিল বলে মন্তব্য করেছেন লিটন নন্দী। এসময় নৈতিকতার জায়গা থেকে ডাকসু নির্বাচনকে গ্রহণের কোনও সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
আজ (১৭ই মার্চ) রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মলনে এসব কথা বলেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু নির্বাচন ২০১৯-এ প্রগতিশীল ছাত্রজোট থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করা লিটন নন্দী।
তিনি বলেন, গতকাল নুর গণভবনে বলেছেন এই নির্বাচনে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেই প্রত্যাশা করি—তার (নুরুর) এই বক্তব্য আমাদের প্যানেলগত বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক।
এসময় নুরুর ব্যাপারে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বারবার এড়িয়ে যান লিটন নন্দী। তবে নুর যদি তার বক্তব্যে অটল থাকে, তবে তা হবে ছাত্রসমাজের সাথে প্রতারণার শামিল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১১ই মার্চ নির্বাচনের দিন পাঁচটি প্যানেল একসাথে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ ব্যতীত অন্য কোনও প্যানেলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের এই অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে লিটন নন্দী বলেন,গণভবন থেকে ফেরার পর থেকে বারবার চেষ্টা করেও আমরা নুরুর সাথে মিটিং-এ বসতে পারিনি। তবে অন্যান্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দ তারা নিজেদের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানাবেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন পুনরায় প্রদান, পুনঃতফসিল ঘোষণা, হামলাকারীদের বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।। এছাড়া আগামীকাল ১৮ই মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ভিসি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।