ডাকসু ও হল সংসদের প্রায় সব নেতৃবৃন্দ ঢাবির লাল বাসযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেলেও নবনির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুরুল হক গিয়েছেন আলাদা গাড়িতে করে। অন্যদিকে সুফিয়া কামাল হল সংসদের সদস্য লামাইয়া তানজিন তানহা গণভবনে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছেন নিজেকে।
নুরের আলাদা গাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন। এসময় নুরের সাথে ছিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
ফারুক হোসেন বলেন, নুরের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা সেটা দিয়ে যায়নি। তাদের আমরা ভাড়া করা উবারে পাঠিয়েছি। যেহেতু এটা সৌজন্য সাক্ষাত, তাই এখানে নিজেদের মত করেই পাঠিয়েছি। আর ছাত্রলীগের যারা ছিল, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে করেই গিয়েছে।
এদিকে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী লামাইয়া তানজিন তানহা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তিনি সুফিয়া কামাল হলে সদস্য পদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছেন। ৮৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিতও হয়েও সামগ্রিকভাবে পুরো ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
এ বিষয়ে তানহা বলেন, “নির্বাচনে যখন কারচুপি হলো তখনই আমরা সবাই প্যানেল থেকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। তারপর ফলাফল ঘোষণার পর আবার যখন দেখলাম আমি জয়ী হয়েছি তখন আমি এ ফলাফল আর গ্রহণ করতে পারি না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি তার ভোট দিতে না পারে সেটাও ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশাল অন্যায়। সেজন্য আমি প্রথমে নির্বাচন বর্জন করেছি, পরে পদত্যাগ করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি না।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন ২০১৯। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। পুনঃনির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে অনশন করেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে কর্তৃপক্ষের সাথে আগামী সোমবার সাক্ষাতের আশ্বাস পেয়ে গতকাল রাতে অনশন ভঙ্গ করেন তারা।