নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদসহ পৃথক একটি স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৭ জন। অন্যদিকে সামান্যের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এদিন হামলা হওয় মসজিদ ‘আল নূর’র কাছেই অনুশীলন করছিলেন তারা। অনুশীলন শেষে ওই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তামিম-মুশফিকরা। হামলা ঘটনা শুনে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ক্রিকেটাররা।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সেজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডটকো জানিয়েছে। এরপর জানালার কাচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। এ হামলায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল নূর মসজিদে হামলাকারী মিলিটারি পোশাক পরে মসজিদে প্রবেশ করেন। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের ওপর হামলা করেন। এরপর তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তিনি অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত। হামলার ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
এছাড়াও লিনউড অ্যাভিনিউয়ের একটি মসজিদের ভেতরে ঢুকে বন্দুরকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট। তবে ক্রিকেটারদের দেশে ফেরা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।