- নিউজিল্যান্ডের ক্রাস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে হামলা হয়। এতে ৩ বাংলাদেশিসহ ৪৯জন নিহত হয়েছে। ৪১ জন ডিনস এভিনিউর ‘আল নূর’ মসজিদে এবং ৭জন লিনউড মসজিদে নিহত হয়। অন্য একজন ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে নিহত হয়েছেন।
- ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে এই মুহূর্তে ৪৮ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যার মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহতদের অবস্থা কারও কারও আশঙ্কাজনক তবে বেশিরভাগই শঙ্কামুক্ত।
- নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এবং ‘দিনটিকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্ধকার দিন’ বলে মন্তব্য করেছেন। এটি দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্নত সন্ত্রাসী হামলা।
- এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। যার মধ্যে ৩ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী রয়েছে বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ।
- মাইক বুশ এই হামলাকে ‘ওয়েল প্লানড’ বলে উল্লেখ করেছেন। এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনো পুলিশের কাছে অজানা।
- ঘটনাস্থলে গ্রেফতার হওয়া ‘ব্রেন্টন ট্যারেন্ট’ একজন অস্ট্রেলিয় নাগরিক, নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এছাড়াও তিনি তার পরিচয় দিয়েছেন একজন ‘উগ্র ও ডানপন্থী সহিংস সন্ত্রাসী’ হিসেবে।
- ব্রেন্টন ট্যারেন্ট আল নূর মসজিদে হামলা করেন। তার হেলমেটে বসানো ছিল ক্যামেরা। যা দিয়ে অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল এই হামলা। নিউজিল্যান্ড সরকার ভিডিওটি প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
- হামলাকারী একজন ইসলাম-বিদ্বেষী ব্যক্তি। এই হামলার পূর্বাভাস হিসেবে তিনি ৭৩ পৃষ্ঠার একটি ইসতেহার লিখেছেন। যা থেকে স্পষ্ট হয় যে তিনি মুসলমানদের ঘৃণা করেন। তিনি ২০১১ সালে অসলোতে ৭৭জনকে হত্যাকরা অ্যান্ডারর্স ব্রেইভিকসহ অন্য শেতাঙ্গ হামলাকারীদের থেকে অনুপ্রানিত। এই হামলার মধ্য দিয়ে শেতাঙ্গদের বিজয় হবে বলে দাবি করেন তিনি। হামলাকারী ওই ইসতেহারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।
- ক্রাইস্টচার্চ স্থবির ঘোষণা করা হয়েছে। মসজিদ ও স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ক্রাইস্ট চার্চের মেয়র লিন ডালজিল পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
- অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। হ্যাগলি ওভাল পার্ক স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে ‘আল নূর’ মসজিদেই নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে হামলার খবরে ফিরে যান। সে সময় জাতীয় দলকে কোন নিরাপত্তা দেয়া হয়নি। বাতিল করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ তৃতীয় টেস্ট।