জৈশ-ই-মুহাম্মেদ নেতা মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার জন্য তৎপর ভারত। আর সে উদ্দেশ্যেই প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্ত পরিষদে। কিন্ত চীনের বাধায় ‘ইউএন টেরর ব্লাকলিস্ট’এ উঠানো সম্ভব হলো না আজহারের নাম। এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো বাধা দিল চীন। এর আগে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধের বিষয়ে ভেটো দিয়েছিল দেশটি।
২০০১ সালে ভারতীয় জাতীয় সংসদে হামলার পর মাসুদ আজহার আলোচনায় আসে। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘উগ্র জাতীয়বাদ’কে উস্কে দিতে মাসুদ আজহারকে ইউএন টেরর ব্লাকলিস্ট’এ অন্তর্ভূক্ত করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। অতি সম্প্রতি ‘কাশ্মির বিস্ফোরণ’র ঘটনায় সে পালে হাওয়া পেয়ে বসে বিজেপি সরকার। তাই তোড়জোড় করে পুনরায় নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। কিন্ত চীনের বাধায় আবারও তা ভণ্ডুল হলো। এদিন ভারতের পক্ষে সমর্থন দেয় আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র।
আজহারকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করতে পারলে কৌশলগত এবং ঘরোয়া রাজনীতির ক্ষেত্রে লাভ হতো বিজেপি সরকারের। পাকিস্তানের সাথে যে উত্তেজনা জারি রেখেছে সেখানে একধাপ এগিয়ে যেত। সেই সাথে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চালাতে পারতো ‘কৃতিত্ব’র প্রচারণা। কিন্তু এখন তার উল্টোটা হয়েছে। কংগ্রেস বলছে, মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির কারণে আজহারকে নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে চীনের সিল্করুট পাকিস্তানের উপর দিয়ে যাওয়ায় এবং ভারত সিল্করুটের সরাসরি বিরোধিতা করায় দেশটি পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।