সৌদিতে আটককৃত ১০ নারী মানবাধিকারকর্মী’র বিচার শুরু

সৌদিতে আটককৃত ১০ নারী মানবাধিকারকর্মী’র বিচার শুরু

গত বছর আটক হওয়ার পর এই প্রথম আদালতে হাজির করা হল ১০ সৌদি নারী মানবাধিকারকর্মীকে। জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের আটক করা হয়। সৌদি প্রশাসনের দাবি, তাদের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে সৌদি মানবাধিকার নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে।

প্রথম দফায় আদালতে হাজির করা হয় লোজাইন আল-হাতলুল, আজিজা আল-ইউসুফ, ইমান আল-নাফিজান এবং হাতনুন আল ফাসিকে। মিডিয়ার কাছে এ তথ্য তুলে ধরেছেন বিচারক ইব্রাহিম আল-সায়ারি। আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ থাকায় বিচারপর্ব শেষে এ তথ্য জানানো হয়। মামলাটি রিয়াদের ফৌজদারি আদালতে তোলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা সৌদির বিশিষ্টি সমাজকর্মী। তাদের অনেককেই গত মে মাসের দিকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া। মূলত নারীদের গাড়ী চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সপ্তাহখানেক আগে তাদের আটক করা হয়।

সে সময় উল্লেখিত চারজন নারীসহ আরও ৫জন পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তারা দেশের মানবাধিকার বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করে দেশের মর্যাদাহানি করতে চাচ্ছে। একই সাথে সরকারি গণমাধ্যমগুলোতে তাদের ‘বেঈমান’ ও ‘গুপ্তচর’ বলে খবর প্রচার করা হয়।

লোজাইন আল-হাতলুল’র ভাই এক টুইট বার্তায় জানায়, তার বোনের মামলা বিশেষ ফৌজদারি আদালত থেকে ফৌজদারি আদালতে নেয়া হয়েছে। এখন সেখানেই বিচারকাজ চলবে। গত মঙ্গলবার তাকে ঐ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশেষ ফৌজদারি আদালত মূলত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের বিচারের চর‌্য প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু সৌদি প্রশাসন সেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলোরই বিচার করে থাকে। তাদের এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই পরিস্কার হওয়া যায়নি।

সেদেশের পাবলিক প্রসিকিউশন এই মামলা নিয়ে পরিস্কার কোন তথ্য দেয়নি। সেই সাথে আল-হাতলুলের কোন আইনি প্রতিনিধি বা আইনজীবী নিয়োগের সুযোগও দেয়া হয়নি।