পশ্চিমবঙ্গের নিষ্ঠুর রাজনীতির বিরুদ্ধে যেদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান হয়েছিল, সেদিন থেকে নতুন পথের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতের বাঙালিদের এই রাজ্য। নারীর উন্নয়নের কথা বলেও যখন অন্যান্য রাজনৈতিক দল নারীকে দিচ্ছেন না তাদের প্রাপ্য। সেখানে সপ্তদশ ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনে ভারতবাসীকে চমকে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) থেকে মনোনয়ন দেয়া প্রার্থীদের ৪১ শতাংশই নারী।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা, রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন সেদিকে ছিল বাড়তি নজর। গতকাল মঙ্গলবার বর্ষীয়ান নেত্রী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আসন রয়েছে ৪২টি, যার মধ্যে ১৭ আসনেই দেয়া হয়েছে নারী প্রার্থী। এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে চার জন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। যারা হলেন, মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান।যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসু। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাননি বলে দাঁড় করানো হয়েছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। বসিরহাটের বর্তমান সাংসদ ইদ্রিস আলিকে সরিয়ে ওই আসনে দেয়া হয়েছে নুসরাত জাহানকে। এবার ১০জন সাংসদকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বীরভূমের আসনে বহাল রয়েছে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। মুনমুন সেন লড়বেন আসানসোল আসন থেকে। গত নির্বাচনে তিনি সিপিআইএম’র ফেবারিট প্রার্থী বাসুদেব আচার্যকে পরাজিত করেছিলেন। এবার মুনমুনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বিজেপির প্রার্থী। অন্যান্য নারী প্রার্থীরা হলেন অর্পিতা ঘোষ (বালুরঘাট), মওসম নুর (উত্তর মালদা), মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), রুপালি বিশ্বাস (রানাঘাট), মমতা ঠাকুর (বনগাঁও), ড. কাকলি ঘোষ (বারাসাত), প্রতিমা মণ্ডল (জয়নগর), মালা রায় (দক্ষিণ কলকাতা), সাজদা আহমেদ (উলুবেড়িয়া), ড. রত্না দে নাগ (হুগলি), অপরূপা পোদ্দার (আরামবাগ), বীরবাহা সোরেন (ঝাড়গ্রাম), মমতাজ সংঘমিতা (বর্ধমান-দুর্গাপুর)।
উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল শুরু হবে ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গে সাত দফাতেই ভোট হবে। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি’র মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অন্যদিকে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা লড়াই করবে একই জোটে।