নির্বাচন বাতিলের দাবি পাঁচ প্যানেলের; উপাচার্য বলছেন ‘সম্ভব নয়’

নির্বাচন বাতিলের দাবি পাঁচ প্যানেলের; উপাচার্য বলছেন ‘সম্ভব নয়’

আগামী শনিবারের মধ্যে নির্বাচন বাতিল করার পাশাপাশি পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছে ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়া পাঁচটি প্যানেলের নেতৃবৃন্দ।

আজ দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পাঁচটি প্যানেলের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ফারুক হোসেন।

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন তারা। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ভিসির সাথে সাক্ষাৎ করতে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন পাঁচ প্যানেলের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। এসময় তারা তাদের দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে প্রদান করেন।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

দুপুর দুইটা পঁয়ত্রিশ নাগাদ নিজ কার্যালয়ের সামনে এসে পুনঃনির্বাচন ‘সম্ভব নয়’ বলে জানান উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, পুনরায় ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। ২৮ বছর পর প্রায় সাড়ে চারশো সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত প্রয়াসে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং এতো মানুষের আন্তরিকতা, তাদের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের সময়-শ্রম দিয়ে অর্জিত একটি বড় আকারের কর্মযজ্ঞের ফল সেগুলোকে নস্যাৎ করা বা সেগুলোর প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার ক্ষমতা উপাচার্যের থাকে না।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেনে নেবে না।

উল্লেখ্য, গত ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের শুরু থেকেই অনিয়ম দেখা দেয়ায় ছাত্রলীগ ব্যাতিত অন্য প্যানেলগুলো নির্বাচন বয়কট করে। পরবর্তীতে নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ’র প্রার্থী নুরুল হক নূর ভিপি নির্বাচিত হলেও তার সংগঠন সম্মিলিত ভাবে পুনরায় নির্বাচনের জন্য সোচ্চার হয়ে ওঠে।