আগামী ১২ এপ্রিল দেশের সমস্ত হল বন্ধের ঘোষণা হল মালিকদের

আগামী ১২ এপ্রিল দেশের সমস্ত হল বন্ধের ঘোষণা হল মালিকদের

দেশে বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির সহজ নীতিমালা ও দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এ বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ না নিলে আগামী এক মাস পর অর্থাৎ ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সমস্ত হল বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি ও মধুমিতা মুভিজের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের সুদৃষ্টি ও আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে ১ মাস পর অর্থাৎ ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব হল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

২০১৯ সালের দু’টি মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোনও চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। এবং গত তিন মাসে মানসম্মত কোন চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। যার ফলে হলগুলো অচল হয়ে পড়েছে, লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। তাই হল বাঁচাতে বিদেশি ছবিগুলো দেশে আনতে সাফটা চুক্তির নীতিমালা সহজ করা এবং হলিউডের মতো বলিউড র্কিবা উপমহাদেশীয় অন্য ছবি মুক্তির প্রথম দিনেই আনার দাবি জানান তারা।

অন্যদিকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন সাফটা চুক্তির বিরোধিতা করছেন। কেননা, বিদেশি চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়ায় দেশীয় চলচ্চিত্রের ক্ষতি করা হচ্ছে। অথচ তারাও মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে কোনরূপ দৃষ্টি দিচ্ছে না। সরকার বিভিন্ন সময় যে অনুদান দিয়েছে, সে সমস্ত চলচ্চিত্রও নির্মাণ হচ্ছে না সময়মতো। কোন কোন সিনেমার কাজে ব্যয় করতে হচ্ছে অনুদানের অর্থের চেয়ে অধিক।

আবার সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে মানানসই নয় এমন চলচ্চিত্র আমদানি করায় খুব বেশি দর্শকও টানতে পারছে না। যার বড় প্রমাণ সর্বশেষ আমদানি করা ‘বিসর্জন’। ভারতে ব্যবসাসফল হলেও মুখ থুবড়ে পড়ে এদেশে।উল্লেখ্য, গত বছর ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ একটি আদেশ দেন। যেখানে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, পূজা ও পহেলা বৈশাখের সময় যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ছাড়া ভারতীয় বাংলা, হিন্দি, পাকিস্তানিসহ বাইরের দেশের কোনও চলচ্চিত্র দেশে আমদানি, প্রদর্শন ও বিতরণ করা যাবে না।