পাক-ভারত যুদ্ধ যুদ্ধ রবের ভিতর গণমাধ্যমের চোখ ছিল দু’দেশের সামরিক শক্তির দিকে। আর তাতেই লক্ষ্য করা গেল, একের পর এক বিধ্বস্ত হচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান। চলতি বছরের মাত্র এই কয়েকদিনে হারিয়েছে ৭টি বিমান। গতকালই সীমান্তবর্তী রাজস্থানে ভারতের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট বিমান থেকে বের হতে সক্ষম হওয়ায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই বিধ্বস্ত হয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৫টি বিমান। পহেলা ফেব্রুয়ারি রুটিন-টহল দিতে গিয়ে বিধ্বস্তা হয় মিরাজ ২০০০ বিমান। একই মাসের ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যাক্রোবেটিক টিমের দু’টি বিমান বিধ্বস্ত হয়। অনুশীলনের সময় পরস্পরের সংঘর্ষে তা বিধ্বস্ত হয় এবং একজন বৈমানিক নিহত হয়।
অন্যদিকে পাকিস্তানের বালাকোটে হামলার পরদিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি আকাশ যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয় একটি মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান। অবশ্য, পাকিস্তান দু’টি বিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল এবং অপরটি ভারতীয় এলাকায় পড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। মিগ-২১’এর পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্থমান নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হলেও পাকিস্তানের হাতে বন্দি হয়। তাকে ৫৯ ঘণ্টা পরে মু্ক্তি দেয় পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, গত এক দশকে ভারতীয় বিমান বাহিনী ৮৫ জনের বেশি পাইলটকে হারিয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই ছিলেন একেবারে তরুণ। বেশির ভাগ মিগ-২১ বিমানই কারিগরি ত্রুটির জন্য দুর্ঘটনা পড়েছে, মানবিক ভুলের জন্য নয়। ভারতীয় অনেক মিগকে চালু রাখা হয়েছে ‘ক্যানিবলিজম’ বা ‘স্বজাতিভক্ষণের’ মাধ্যমে। অর্থাৎ বাতিল মিগ-২১’এ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে এসব বিমানকে চালু রাখা হচ্ছে। অথচ এই মিগ-২১’কেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে। নতুন যুদ্ধবিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে বিজেপি সরকার। যা বিমান বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক।