শক্তিশালী হচ্ছে ইরানের নৌবাহিনী, তৈরি করছে লেজার প্রতিহত করার অস্ত্র

শক্তিশালী হচ্ছে ইরানের নৌবাহিনী, তৈরি করছে লেজার প্রতিহত করার অস্ত্র

ইরানের নৌবাহিনী একটি প্রতিরক্ষা অস্ত্র তৈরি করছে, যা আমেরিকার অ্যান্টি-ড্রোন লেজার সিস্টেমকে অকেজো করতে সক্ষম। দেশটির নৌবাহিনীর কর্মকর্তা রিয়াল অ্যাডমিরাল আলি রেজা তাংশিরি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া তিনি নৌবাহিনীতে নতুন ধরনের সাবমেরিন সংযুক্তির কথাও বলেছেন। তারা খুব ছোট আকৃতির সাবমেরিন তৈরি করছেন যা হবে দ্রুতগতির এবং শক্তিশালী। এই সাবমেরিন ইরানের পূর্ববর্তী যেকোন সাবমেরিনের চেয়ে অধিক কার্যকরী হবে। ঐ সকল সাবমেরিন ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে নিজ দেশেই তিরি হবে। তাংশিরি বলেন, ঐ সকল সাবমেরিনেই টর্পেডো থাকবে এবং তাতে সাবসার্ফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল ও থাকবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আরো জানা গিয়েছে, তাদের নৌবাহিনীর শক্তি আরও উন্নত করতে তারা বৃহৎ কিছু যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করছে। গভীর সমুদ্রে পাহারা দেওয়া ও দূরপাল্লায় নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করা হবে প্রত্যেক যুদ্ধ জাহাজে।

তাছাড়াও নৌবাহিনী নিজেদের লোকবলে তৈরি করতে যাচ্ছে ৬৫ মিটার লম্বা জলযান। এই সব যানেই থাকছে মিসাইল ও টর্পেডোর মত শক্তিশালী নিক্ষেপণ অস্ত্র। হেলিকপ্টারও নামতে পারবে এসকল যুদ্ধযানে।  নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত করা হচ্ছে ‘পার্সিয়ান গালফ মিসাইল’।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সায়েদ আলি খোমেনী ইরানের সামরিক বাহিনীগুলোর শক্তি বৃদ্ধিতে তাগিদ দেন। তিনি সেদেশের বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দেন যেন তারা এমনভাবে তৈরি থাকে যে কোন শত্রু তাদের উপর হামলার চিন্তা করার সাহস পাবে না। মূলত এরপর থেকেই সেদেশের সামরিক বাহিনীতে শক্তিবৃদ্ধির তোড়জোড় বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। সেদিক থেকে বলতে হয় ইরানের নৌবাহিনীতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে।