এবার কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লু একথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থাকে বলেন, “ইনশাহাল্লাহ্ যদি আল্লাহ্ সহায় হয় ইরানের সাথে আমরা যৌথভাবে পিকেকে’র (কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টি) বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো”।
বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্ক ‘কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টি’র বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। অন্যদিকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী লড়ছে ‘পার্টি অফ কুর্দিস্থান’র বিরুদ্ধে। কুর্দি অধ্যুষিত এই দু’টি সংগঠন বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ ইরাকে আশ্রয় নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তুরস্ক ছাড়াও বিভিন্ন পশ্চিমা মিত্র রাষ্ট্রও পিকেকে’কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
যদিও সুলাইমান এই অভিযানের কোন বিস্তারিত কিছু বলেন নি। কবে থেকে বা কীভাবে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে এই বিষয়ে ইরান কর্তৃপক্ষও গণমাধ্যমে কোন মন্তব্য করেননি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান পূর্বেই জানিয়েছিলেন এমন একটি অভিযানের কথা। সেই সময় তিনি জানান, একটি যৌথ অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে, যে অভিযানের মূল লক্ষ্য হবে ইরাকে ঐ সংগঠনটির গোপন আস্তানা ধ্বংস করা।
তাছাড়াও ২০১৭ সালে এরদোগান বলেছিলেন, “কুর্দি বিদ্রোহীদের দমানোর কাজে তুর্কি-ইরানি যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা সর্বদাই আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা”।
সে সময় তিনি আরও জানান দুই দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান আলোচনায় বসেছিলেন। তাদের আলোচনার মূল এজেন্ডা ছিল, কীভাবে যৌথ প্রয়াসে ঐ অভিযান চালানো যায় যদিও পরবর্তীতে ইরানের ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড ঐ সময় কোন রকম যৌথ অভিযানে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এ পরে আর তেমন কোন অগ্রগতি না হলেও এবছর আবার যৌথ অভিযানের আলাপ উঠে এসেছে।