রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গড়িমসি শুরু থেকেই ছিল বর্তমান সরকারের মধ্যে। তাদের ফিরিয়ে দেয়া কিংবা মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনা নিয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ তারা নেয়নি। সে প্রশ্ন তুললেই বারবার আন্তর্জাতিক মহলকে দোষারোপ করা হতো। এবার সে সমস্যার একটা সমাধান হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি তুলে ধরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এ আইনি প্রক্রিয়া প্রহণের লক্ষ্যে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি।
গতি শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওআইসির ৪৬তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রুতিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের লক্ষ্যে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের কারণে সাত লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার গ্রুপ ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।