পাকিস্তানে প্রবেশের সময় ভারতীয় সাবমেরিন প্রতিহত করল দেশটির নৌবাহিনী

পাকিস্তানে প্রবেশের সময় ভারতীয় সাবমেরিন প্রতিহত করল দেশটির নৌবাহিনী

‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ ধরে পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার মধ্য দিয়ে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার এক সপ্তাহের মাথায় নতুন এক ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে পাকিস্তান নৌবাহিনী একটি ভারতীয় সাবমেরিনকে সনাক্ত করতে পেরেছে, যেটি পাকিস্তানের সমুদ্র এলাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানান পাকিস্তান নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র। তিনি বলেন ‘পাকিস্তান নৌবাহিনী তার নিপুণ দক্ষতা ব্যবহার করে সাবমেরিনটিকে পাকিস্তান সমুদ্রপথে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পেরেছে।

পকিস্তানের সমুদ্র সীমায় প্রবেশের মত ঘটনা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার  ঘটেছে। এর আগে ২০১৬ সালেও পাকিস্তান নৌ বাহিনী ভারতীয় সাবমেরিন সনাক্ত করে যা পাকিস্তানের সমুদ্র সীমায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল। পাকিস্তানের ভৌগলিক সমুদ্র সীমার (টেরিটরিয়াল সী) পরিমাণ ১২ নটিক্যাল মাইল আর ২০১৫ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সমুদ্র অঞ্চল’ (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক সী জোন) দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গ কি.মি.। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন হচ্ছে এমন একটি সমুদ্র সীমা যা উপকূল থেকে গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলীয় দেশের সামুদ্রিক এলাকা, যেখানে অনুমতি ছাড়া বা তথ্য না জানিয়ে প্রবেশ করা যায় না।

‘সরকারের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগের প্রতি সম্মান রেখে ভারতীয় সাবমেরিনটিকে টার্গেট করা হয়নি’ উল্লেখ করে মুখপাত্র আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ভারতীয় সাবমেরিনটিকে সনাক্ত করতে পারা ভারতীয় নৌবাহিনীর একটা পরাজয়ই বটে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের উচিত শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করা। এই বড় কৃতিত্ব পাকিস্তানের নৌবাহিনীর উচ্চ দক্ষতার প্রমাণ দেয়। পাকিস্তানের নৌ সীমানা সুরক্ষায় এই বাহিনী সর্বদা কাজ করে যাবে। যেকোন আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার সক্ষমতা এই বাহিনীর রয়েছে।

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় হালমার জের ধরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমান বাহিনী(আইএএফ) পাকিস্তানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করার এক সপ্তাহের মাথায় ভারতের সর্বশেষ এমন উস্কানি। ওইদিন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিআইইএফ) ধাওয়া খেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় তারা। পরের দিন ২৭ শে ফেব্রুয়ারি  নিয়ন্ত্রণ রেখায় বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাকিস্তান তার সক্ষমতা প্রদর্শন করে। এবং ‘নিয়ন্ত্রন রেখা’ পাড়ি দেওয়ার সময় দুটি ভারতীয় বিমান ভূপতিত করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। আটক করে একজন ভারতীয় উইং কমান্ডারকে।