ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত প্রাথমিক প্রার্থীদের তালিকায় নানা অসঙ্গতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক প্রার্থীদের তালিকায় যথাযথ নিয়ম অনুসরণের পরও ডাকসুর একজন সাধারণ সম্পাদক প্রাথীর (জিএস) প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটার তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও একজনের প্রার্থীতা বহাল রাখা হয়েছে।
জানা যায়, নিয়মমাফিক নিজ হল সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র এ আর এম আসিফুর রহমান। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মনোনয়ন দাখিল করলেও আজ ডাকসুর চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রকাশকৃত ডাকসুর প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম নেই। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘তথ্যের অপূর্ণতা’।
ভোটার তালিকায় নাম থাকার কারণে ছয়জনের প্রার্থীতা বাতিল করলেও ভোটার তালিকায় নাম না থাকা একজনের প্রার্থীতা বহাল রাখা হয়েছে। নিপু ইসলাম তন্বী নামে এই প্রার্থী শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। ছাত্রলীগের ঘোষিত প্যানেলে তিনি সদস্য পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। হলের ভোটার তালিকায় তার ভোটার নম্বর নেই। অথচ প্রার্থীর তালিকায় তার ভোটার নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ৩৭৩৮।
সবঠিক থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীতা বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসিফুর রহমান। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সকল বিধি মেনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা সত্ত্বেও জিএস পদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, শিশুসুলভ ও হাস্যকর।
অসঙ্গতির বিষয়ে জানতে চাইলে চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।