সীমান্ত পেরিয়ে এসে নিজেদের ভূখণ্ডে আক্রমণকে কোন দেশই সহজভাবে নেয় না। পাকিস্তানও ভারতের এই হামলাকে সহজভাবে নেয়নি। ইতিমধ্যে তাদের পদক্ষেপে ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ‘জঙ্গি আস্তানায় হামলা করেছে’ বলে ভারত যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখান করেন। এবং তাদের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানান। ইতিমধ্যে তারা হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছেন বিদেশি মিডিয়ার অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে।যাতে পরিস্কার হয় ভারত কতটা প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সামরিক বাহিনীও। এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বিবৃতি দিয়েছেন, যে কোন ঘটনার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও জনগণ প্রস্তুত।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত রাখার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সাথে।
পাকিস্তানের অনুরোধে ওআইসি’র একটি জরুরি সম্মেলন চলছে। জেদ্দায় এই বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাহমিনা জানজুয়া। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ওআইসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সুতরাং ওআইসি’র প্রতিষ্ঠাকালীন দেশের উপর এমন আক্রমণ ওআইসি সমর্থন করবে না। যার কারণে সেখানে পাকিস্তান তাদের যুদ্ধের ব্যাপারে সহযোগিতা পাবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিংয়ে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যদি পাল্টা আক্রমণ করে তবে আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দকে পাশে পাবে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সেই সাথে কাশ্মিরও হয়ে উঠবে আরও উত্তেজিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিজেপি যে জনগণের ‘পাকিস্তান বিরোধিতা’র উন্মাদনা ব্যবহার করছে তা মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় রক্তের নদী বইয়ে দেবে।