আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একাংশ। আজ সকালে যথাক্রমে ডাকসু সংগ্রহশালার সামনে ও মধুর ক্যান্টিনে তারা প্যানেল ঘোষণা করে।
নুরুল হক নুরকে ভিপি পদে, মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে জিএস এবং ফারুক হোসেনকে এজিএস পদে প্রার্থী করে ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে গড়ে উঠা সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
প্যানেলে সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী করা হয়েছে ২০১৮-১৯ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পরীক্ষা বাতিলসহ চারদফা দাবিতে অনশনে বসা আখতার হোসেনকে।
এছাড়া বাকি পদগুলোর মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে নাজমুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. সোহরাব হোসেন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে শেখ এমিলি জামাল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাহিত্য সম্পাদক পদে আকরাম হোসেন, সংস্কৃতিক সম্পাদক পদ নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামুনুর রশীদ (মামুন), ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাজিবুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন উম্মে কুলসুম বন্যা, রাইয়ান আব্দুল্লাহ, সাব আল মাসানী, ইমরান হোসেন এবং শাহরিয়ার আলম সৌম্যসহ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল দেয়া হলেও আজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একাংশ আরও একটি প্যানেল দিয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহান খানকে ভিপি এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে জিএস পদপ্রার্থী করে আজ সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল ঘোষণা করে তারা।
এর আগে গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানিকে জিএস প্রার্থী করে ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল দিয়েছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রলীগের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়।
এই প্যানেল ‘বিদ্রোহী প্যানেল’ কি না প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, এটা কোনও বিদ্রোহী গ্রুপ কিংবা বিদ্রোহীদের প্যানেল নয়।