সাতদফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচী

সাতদফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচী

সাত দফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ দুপুরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় তারা প্রশাসনকে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, হলে হলে সহাবস্থান নিশ্চিত, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ তাদের সকল দাবি পূরণের আহ্বান জানান।

এর আগে সকাল দশটার পর থেকে মধুর ক্যান্টিনে জড় হতে থাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর একটার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান আসলে মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্য-কার্যালয়ের দিকে যান।
এসময় মিছিলের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্রদলের একাধিক নেতৃবৃন্দ। পরে আকরামুল হোসাইনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে জড় হয়ে ‘মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি চাই; খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘গণতন্ত্রের মুক্তি চাই’, ‘প্রহসনের নির্বাচন, মানবো না, মানবো না’ বলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।

প্রশাসন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ডাকসু শাখা করবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ডাকসুর ব্যাপারে শুরু প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তেই ছাত্রদল আন্তরিক ছিলো। কিন্তু, এমন এক সময় ডাকসু আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, যখন আমাদের অনেক নেতাকর্মী মামলা-মোকাদ্দমায় জর্জরিত। প্রশাসন যেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ডাকসু শাখা করবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

ডাকসুকে ঘিরে ‘ষড়যন্ত্র’ হলে ছাত্রদল তার জবাব দেবে জানিয়ে আকরাম হাসান বলেন, “যদি কোনো ধরনের টালবাহানা হয়, যদি কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হয়, তাহলে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দাবানল জ্বলে ওঠবে।”

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, হলে হলে মিনিমাম সহাবস্থান এখনো নেই। ডাকসু নির্বাচন তড়িঘড়ি দেয়া হচ্ছে।

সাতদফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আল মেহেদি তালুকদার।