যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে উপেক্ষা করে সৌদি আরবের কাছে পারমাণবিক শক্তি বিক্রিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির কংগ্রেশনাল কমিটির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি স্থানান্তর রক্ষণ আইন’র বিরুদ্ধে গিয়েই ট্রাম্প সৌদির সাথে পরমাণু শক্তির লেনদেন করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এমন প্রযুক্তি সৌদি আরবের কাছে বিক্রি হলে সৌদি একসময় নিজেরাই পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়ে উঠবে। যা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য অশুভ। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য যেভাবে অস্ত্র ধারণ করতে শুরু করেছে তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে ধারণা করছে।
ইতিমধ্যে মুহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতায়ণে সৌদি আরবের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংশয়ে আছেন মার্কিন আইন-প্রণেতারা। বিশেষ করে জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং ইয়েমেন যুদ্ধে তার ক্ষিপ্রতা যুক্তরাষ্ট্রে সালমানের জনপ্রিয়তা কমালেও বাড়িয়েছে সংশয়।
এদিকে গোপনসূত্রে জানা গেছে, যদি আমেরিকার এত উচ্চ সংবেদনশীল পারমানবিক প্রযুক্তি সৌদিতে পাচার হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বড় হুমকি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ট্রাম্পের অনুমতি নিয়ে সৌদিতে তাদের প্রকল্প স্থাপন করতে চায়। এসব কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের সাথে কতটা আঁতাতে জড়িয়েছে সেটা তদন্ত করার জন্য কমিটি করা হয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এরই মাঝে গত বছর ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে কী পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিবে সেটা নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে সেদেশের আইন-প্রণেতারা। তাছাড়াও ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতাকে উস্কে দিতে পারে ট্রাম্পের এই রকমের চুক্তি। এমনটাই মনে করছেন সেদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।