ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের পর ডাস্টবিনে ফেলে রাখলো ছাত্রলীগকর্মী

ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের পর ডাস্টবিনে ফেলে রাখলো ছাত্রলীগকর্মী

মারধর করে এক ঢাবি শিক্ষার্থীকে ডাস্টবিনে ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রের নাম আবুল কাসেম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জসীমউদদীন হলের বাসিন্দা। তাকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে একই হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে।

এসময় কাসেমকে বাঁচাতে যাওয়া অন্যান্যরাও মারধর ও ছিনতাই-এর শিকার হন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কাসেমকে বাঁচাতে যাওয়া একই হলের ছাত্র এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগের জোবায়ের, ম্যানেজমেন্ট ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোস্তফা দাউদ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শওকত অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমাম ও কাসেমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমামসহ তার অনুসারীরা কাসেমকে মারধর করতে থাকে। এ সময় কাসেমকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটো মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয় বলে জানান তারা।

কাসেম গুরুতর আহত হলে ইমামের অনুসারীরা তাকে হলের ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সূর্য সেন হল ছাত্রলীগ নেতা মেশকাতসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করেন।

আবুল কাসেমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হাসান বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জসীমউদদীন হলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের মারা হচ্ছিল দেখে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন। পরে আমরা আহতাবস্থায় কাসেমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ খোঁজ নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।