সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে কি কি আদায় করল পাকিস্তান?

সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে কি কি আদায় করল পাকিস্তান?

নতুন করে পাকিস্তান-সৌদি সুসম্পর্কের বাতাস বইছে এশিয়ায়। এমবিএস’র পাকিস্তান সফর থেকে এমনটাই আভাস মিলেছে। গত রবিবার পাকিস্তানে পৌঁছান সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি যুবরাজের পাকিস্তান সফরে একপেশেভাবেই সুবিধা আদায় করে নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। আর বিনিময়ে সালমানকে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিশান-এ পাকিস্তান।

পাকিস্তানের সাথে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের স্মারকে স্বাক্ষর করার পরদিনই সালমানকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। সৌদি যুবরাজের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় সম্মাননা। এছাড়াও পাকিস্তান সৌদিতে অবস্থান করা ২৫ লক্ষ প্রবাসীদের সাহায্যসহযোগিতা ও সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ৩ হাজার কয়েদির মুক্তির দাবি করলে সৌদি যুবরাজ ২ হাজর ১০৭ জন পাকিস্তানি কয়েদিকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন।

সৌদি পাকিস্তানের সাথে এমন সময় বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যখন পাকিস্তানের অর্থনীতি খানিকটা সংকটে পড়েছে; যা রাষ্ট্রীয় বিকাশে হিমশিম খাচ্ছে। পাকিস্তানের এখন মূল লক্ষ্য দ্রুত সৌদি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। এখনো বিনিয়োগের কর্ম-পরিকল্পনা না করা হলেও দ্রুতই তা ঠিক করা হবে। চুক্তির বিষয়ে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদিল আল জুবায়ের বলেন, তাদেরকে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল প্রকল্প তাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। পাকিস্তানের পরররাষ্ট্র মন্ত্রীও বিনিয়োগের সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে ভারত সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও মুহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি সৌদি চলে গেছেন। এতে কূটনৈতিকভাবে ভারতে ব্যর্থ  হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।