ভেনেজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ আটকে রয়েছে কলম্বিয়ায়। ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিমানে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ না করায় তা কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কুকুতায় রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে বেশিরভাগই ওষুধ ও অতি পুষ্টিকর খাবার। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ভেনেজুয়েলায় পৌঁছানোর আগেই তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় প্রসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
শনিবার ১৮০ টনের এই চালান পাঠানো হয়, যেখানে ২৫ হাজারেরও অধিক মানুষের উপযোগী পণ্য রয়েছে। ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মাদুরো অভিযোগ করেন, তাদের বিরোধী শক্তি ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুয়াইডোকে সাহায্য করতে এবং বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ পাঠানোর নাটক করছে। তিনি বলেন “তারা আমাদের উপর চাড়াও হয়, আমাদের অর্থ চুরি করে আমাদেরকে বিভক্ত করে আবার দুনিয়ার সামনে দেখায় আমাদের সাহায্য করছে।
এদিকে শনিবার এক জনসভায় গুয়াইডো তার কর্মীদের সামনে শপথ করেন যে, ২৩শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রাণের চালান ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন দলে দলে সীমানা পেরিয়ে গিয়ে সবাইকে তাদের হক বুঝে নিয়ে আসতে। তিনি জনগণকে গ্রাম থেকে শহরের দিকে আসারও অনুরোধ জানান যেন সবায় ত্রাণের অংশ বুঝে পেতে পারে। এছাড়া তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান যেন কলম্বিয়ায় আটকে পড়া ত্রাণ সামগ্রী সেদেশে ঢুকতে দেয়া হয়।
ভেনেজুয়েলা বেশ আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকট ও মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করছে। বর্তমানে সেদেশে ওষুধ ও খাদ্য সংকটের তীব্রতা বহু বেড়েছে। আর সে সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের উদ্দেশ্যে এই ত্রাণ সরবারাহ করছে। কেননা, তারাই দেশটির তেল কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।