১.
তোমার টাইমলাইন বলছে একটা সম্পর্ক থেকে
আর একটা সম্পর্কে যেতে ঊনিশ দিন সময় লাগে।
শরীরে লোডশেডিং হলে বদলে যায় দূরত্বের সমীকরণ।
হয়তো অভ্যেস পাশের বালিশটাতে শুয়ে,
অন্ধকার পড়ে নেয় নিজেদের ছায়া
এভাবেই একদিন মুহূর্তগুলো শোপিস হয়ে যাবে
তোমার শরীরে এপিক মিউরাল
এভাবেই একদিন নিজেকে প্রতিফলিত করবে আয়না
ঘরের মধ্যে জন্ম নেবে আর একটা ঘর
আমরা যে যার মতো হেঁটে যাবো,
দুটো পৃথিবী দুরকম করে সাজিয়ে নেবো
টরিসেলির শূন্যস্থান বিশ্বাস করে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই
একটা পালকের মতো হৃদপিণ্ড আছে
২.
সারাটা দিন সাকসেসফুল আপলোড করার পর
ঝুড়ি ভরে লাইক এবং কমেন্ট নিয়ে
ঘুমাতে যান আজকের মিস কলকাতা
আমি উত্তেজনা কামড়ে বসে থাকি ওয়েটিংয়ে
বারবার ইনটিগ্রেট হতে হতে
ভালোলাগাটা ধ্রুবক হয়ে যায়
সুপরিকল্পিতভাবে তুমি ঐতিহ্যের
গায়ে আগুন লাগিয়ে দাও,
সে আগুনে পুড়ে যায় কবিতার শহর
আমার সমস্ত শব্দ তাতে আহুতি করি
বায়োলজিক্যালি তুমি মা হতে চলেছ
৩.
পাঁজর ভাঙলে চিৎকার নয়
ফটোশপে ফেললে খুঁজে পেতে পারো আদরের দাগ
প্রত্যেক স্টেপে আমি নির্ভুল ভাবে ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি
আমাকে বেষ্টন করে হাসি খুশি বুদ্বুদ
তিনজন নয় একজন
ভিড়ের মধ্যে একা হাঁটে সাহেব বিবি ও আমি
ঘুমের মধ্যে জেগে থাকে ঘুম
ফোঁটা ফোঁটা নীরব
মিস কলকাতা তোমার কোনও মেয়েবেলা নেই,
আছে ভূগোল বই
৪.
গল্পটা একটা টিফিনবক্স থেকে শুরু হয়েছিল
অসহায় কয়েকটা কালো জাম, হলুদ ওড়না
বৃষ্টিভেজা কিছুটা আলো
শূন্যস্থানে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা অলিভ তরুণী
আমার চৌকাঠ ছিনিয়ে,
এরপর জ্বলে ওঠা
আমি দেখেছি মুহূর্তের কালো স্ট্র্যাপ, আঁচড়ে ওয়াইল্ডস্টোন
আমি দেখেছি কিভাবে সিম্ফনি ভিজিয়ে দিচ্ছে নিশ্বাস
না, কোনো স্বরলিপি নেই
মুহূর্তের কয়েকটা স্ক্রিনশট
যে কোনো সম্পর্ক কেন্দ্র থেকে পরিধীতে এসে পৌঁছোলে
ছিবড়ের মতো চিবোতে থাকে নিজেকে
জুতোর তলায় মুগুরছাপ সাবমেরিন
৫.
আলোর ভেতর যতটা অন্ধকার
ততটাই কুলকুচি করে ফেলে নিখোঁজ যুবতী
প্রত্যেক পৃষ্ঠায় এখনও সে কিছুটা অবশিষ্ট
শহরের সমস্ত শব্দ একদিন মিউট হয়ে যাবে
বুলেট গিলবে খেলনা পিস্তল
এভাবেই উইন্টার-ক্রিমের বিজ্ঞাপন ধুয়ে দেবে রেডরোড
এভাবেই বেসিন ভরে যাবে নীল একোয়াটিকা
এবারে শহর ভেঙে পড়বে
মাচো ইমেজে সামনে এসে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান
এবারেও সমস্ত সেলফিতে হেঁসে উঠবে অদৃশ্য তুমি
ক্ষয়ের আরেক নাম হতে পারে গন্ধসাবান