কাশ্মিরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত ৩০ জওয়ান

কাশ্মিরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত ৩০ জওয়ান

ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ৩০ জওয়ান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩.১৫ মিনিট নাগাদ পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার বাইপাসের কাছে জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কে সিআরপিএফ’র বাসে এ ঘটনা ঘটে । নিহত ৩০ জন ছাড়াও আহত হয়েছে বহু জওয়ান, যাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  প্রায় ৭০টি গাড়িতে কমপক্ষে ২৫০০ সিআরপিএফ জওয়ানের কনভয় যাচ্ছিল।

সাধারণত সেনাবাহিনীর কনভয়ের সময় রাস্তায় সাধারণ গাড়ি চলাচল থামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ বা সিআরপিএফ’র কনভয়ের সময় এই নিষেধাজ্ঞা থাকে না। সেই সুযোগ নিয়েই কাশ্মিরের সশস্ত্র সংগঠন ‘জৈশ-ই-মুহাম্মেদ’র সদস্য আদিল আহমেদ দার প্রায় ২০০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এবং বাসে ধাক্কা মারতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে।

বিস্ফোরণের পরই এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর ছয় নাম্বার প্রধান সড়ক।

ইতিমধ্যে স্থানীয় সংবাদ সংস্থার কাছে টেক্সট পাঠিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সংগঠনটি।

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সুভাষ ভামরে বলেছেন, “‌দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না। আমাদের জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নিতে আমরা কোনও সুযোগ ছাড়ব না।”‌ গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রায় দিন দশেক আগেই সেনাবাহিনীর উপর বড় নাশকতার সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল। আইজি সিআরপিএফ (‌অপারেশনস্‌) বলেছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। তদন্তের পরই প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে। অন্যদিকে সিআরপিএফ এর শীর্ষ কর্মকর্তারা হামলার স্থানে রওনা হয়েছেন।

সিআরপিএফ’র ডিজির সঙ্গে সম্পূর্ণ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার জম্মু–কাশ্মির যাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, কাশ্মিরে মেহবুবা মুফতির সরকার বিজেপি’র সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে রাজ্যটিতে রাজ্যপাল শাসন শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে হামলা-পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।