ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের প্রায় পঁচিশ-ত্রিশজনের নেতাকর্মী আজ বেলা এগারোটায় মধুর ক্যান্টিনে এসে পৌঁছে। এসময় মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ ও বাম জোটের নেতারাও ছিলেন। তবে এইবার কোনও প্রকার বাধার সম্মুখীন হয়নি ছাত্রদল।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করলে সেখানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন তাদের স্বাগতম জানান। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি তুহিন কান্তি দাসের সঙ্গেও করমর্দন করেন ছাত্রদলের দুই নেতা।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিতে মধুর ক্যান্টিনে আসার পথে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছিল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।
এর আগে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদল গিয়েছিল আজ হতে প্রায় ৯ বছর পূর্বে। ২০১০ সালে। কিন্তু সে সময় ছাত্রলীগের হামলায় তৎকালীন ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিদুল ইসলাম ও ছাত্রদল কর্মী মাইনুলসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। এরপর আর মধুতে ফেরেনি দলটি। যদিও ২০১৭ সালে ১০ আগস্ট ডাকসু আলোচনায় অংশ নিতে মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গনে এসেছিলেন; কিন্তু সে সময়ও ছাত্রলীগের ধাওয়ায় চলে যেতে হয় তাদের।
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছিল ছাত্রদল। ২ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ন্যূনতম তিন মাস সব সংগঠনের সহাবস্থান ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিল তারা।