ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের চল্লিশ বছর পূর্তি ছিল গতকাল সোমবার। নানা উৎস আয়োজনে তারা দিনটিকে পালন করেছে। এদিন রাজধানী তেহরানের ঐতিহাসিক আজাদি স্কয়ারে বিপ্লব বার্ষিকীর জন সমাবেশে ভাষণ দেন হাসান রূহানি। তিনি বলেন “ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির জন্য তেহরান কারোর অনুমতি নেয় না এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। ইরান দৃঢ়তার সাথে নিজের পথচলা অব্যাহত রাখবে।”
ইরাক যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন “সাদ্দামের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের সময়ের চেয়ে বর্তমান ইরান অনেক বেশি শক্তিশালী এবং ইরানের সশস্ত্রবাহিনী বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে।” তার ভাষ্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি ও সামর্থ্যে কথা বারবার উঠে এসেছে।
ইরান বাহিনীর শক্তি ও দৃঢ়তাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “সারা বিশ্ব আজ দেখছে ইরানের স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতায় কিভাবে সিরিয়া, ইরাক ও লেবাননের জনগণ বিজয় অর্জন করেছে এবং ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের জনগণ আগ্রাসী ও দখলদার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।”
প্রেসিডেন্ট রূহানি পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটা বিদ্রুপ করেই বলেন “শত্রুরা তাদের ২০ বছরের ভুল ধরতে পেরেছে। ধীরে ধীরে তারা এই অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে। শত্রু মুক্ত হলেই কেবল এই অঞ্চলের জনগণ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মুখে যাত্রা অব্যহত রাখতে পারবে।”
আজাদি স্কয়ারে জনমানুষের ঢল দেখে ব্যাপক খুশি ও শুকরিয়া প্রকাশ করে তিনি বলেন “আজ বিজয় বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় জনগণের ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা কখনই তাদের অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে পারবে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান অতীতের মত আগামীতেও নিজেদের পথচলা অব্যহত রাখবে।”
এদিকে পেট্রো ক্যামিকেল ও নানাবিধ আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে দেশটিতে। এ বিষয়ে তিনি দেশের বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রশংসা করেন এবং তাদের এই অগ্রগতি যে আজ পুরো বিশ্ব স্বীকার করেছে সে কথা স্বগর্বে জনগণকে জানান তিনি।