পুরো নাম : অ্যাঞ্জেল ফ্যাবিয়ান ডি মারিয়া হার্নান্দেজ
ডাক নাম : অ্যাঞ্জেলিতো
বাবা : মিগুয়েল ডি মারিয়া
মা : ডায়ানা হার্নান্দেজ
ভাই/বোন : দুই বোন; এভলিন ডি মারিয়া, ভেনেসা ডি মারিয়া
স্ক্রী : জর্জেলিনা
সন্তান : মিয়া ডি মারিয়া
জন্ম তারিখ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮
ক্নাব : প্যারিস সেন্ট জার্মেইন
সাবেক ক্লাব : রোজারিও সেন্ট্রাল, বেনফিকা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড
শখ : মুভি দেখা, গেমস খেলা, সাতার কাটা
প্রিয় খাবার : ইতালিয়ান, স্পাইসি ফুড
প্রিয় সুপারহিরো : সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান
প্রিয় গায়ক/গায়িকা : জাস্টিন বিবার, মাইকেল জ্যাকসন
প্রিয় ফুটবলার : রোনালদিনহো, মারাডোনা
প্রিয় অভিনেতা/অভিনেত্রী : লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, অ্যাঞ্জেলিনা জলি
প্রিয় রঙ : সাদা
প্রিয় ফুল : লাল গোলাপ
১৯৮৮ সালে ভালোবাসা দিবসের দিন মিগুয়েল এবং ডায়ানা ডি মারিয়ার ভালোবাসার প্রমাণ হিসাবে পৃথিবীর বুকে আগমন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার। রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ নেয়া ডি মারিয়া বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন। বর্তমানে পিএসজিতে খেলা ডি মারিয়া খেলেছেন বেনফিকা, রিয়াল এবং ইউনাইটেডের মত ক্লাবে। সময়ের শ্রেষ্ঠ দুই ফুটবলার মেসি এবং রোনালদোর সাথে একই দলের খেলা ভাগ্য যে ক’জনের হয়েছে ডি মারিয়া তাদের একজন।
মিগুয়েল এবং ডায়ানা দম্পতির তিন সন্তানের একজন ডি মারিয়া। ছোটবেলা থেকেই রোগা গড়নের ডি মারিয়ার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো ফুটবলের। কিন্তু টানাটানির সংসারে ডি মারিয়ার জন্য বুট বা বল জোগাড় করে দেয়া ছিলো দুঃসাধ্য বিষয়। ডায়ানার সহযোগিতা এবং ডি মারিয়ার পরিশ্রমে সে স্বপ্ন শুধু পূরণই হয়নি বরং ডি মারিয়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্ব সেরাদের একজন হিসাবে।
মাত্র চার বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রালের অংশ হন ডি মারিয়া। পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ঘটে ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটি পান তার পরের বছরের ২৪ নভেম্বর, কুইলমেসের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনা অনুর্ধ্ব ২০ দলের হয়ে যুব বিশ্বকাপে নজর কারেন ডি মারিয়া। তার খেলায় মুগ্ধ হয়ে আর্জেন্টাইন জায়ান্ট বোকা জুনিয়র্স তাকে পাবার জন্য ৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বিড করে, পেতে চেয়েছিলো আরেক জায়ান্ট আর্সেনালও।
২০০৭ সালের জুলাই মাসে ডি মারিয়া যোগ দেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে। নিজেদের বিদায়ী ক্যাপ্টিন সিমাওয়ের জায়গায় তাকে দলে ভেড়ায় বেনফিকা। বেনফিকার জার্সি গায়েই নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিকটি করেন তিনি। বেনফিকার জার্সি গায়ে ৭৬ ম্যাচ খেলা ডি মারিয়া এরপর পাড়ি জমান স্পেনে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার জন্য।
রিয়ালের হয়ে অম্ল মধুর একটি সময় পার করেন তিনি। কাকা, ওজিলকে টপকে মোরিনহোর প্রথম পছন্দে পরিণত হন ডি মারিয়া। পায়ের জাদুতে প্রতিপক্ষকে বশ করার সহজাত ক্ষমতা থাকলেও সে অর্থে ধারাবাহিকতা ছিলো না অ্যাঞ্জেলিতোর। তারপরেও, রিয়ালে কাটানো সময়টা তার ট্রফিকেসকে বেশ সমৃদ্ধই করেছে। অনেকের মতে রিয়ালের হয়ে ডি মারিয়ার সেরা ম্যাচ ছিলো ২০১৩/১৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটি। যে ম্যাচটি জিতে রিয়াল পেয়েছিলো বহু আরাধ্য লা দেসিমার দেখা।
ডি ক্যাপ্রিওর ভক্ত ডি মারিয়া এরপরেই পাড়ি জমান ইউরোপের আরেক জায়ান্ট ক্লাব ইউনাইটেডে। ৫৯.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফি ছিলো বিশ্বের অন্যতম ব্যয় বহুল ট্রান্সফারের একটি; সে সময়ে যা ছিলো বৃটিশ রেকর্ড। এক মৌসুমের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে যায় খুব বাজে ভাবে। চূড়ান্ত ব্যর্থ ডি মারিয়ার ট্রান্সফারটিকে মৌসুমের অন্যতম বাজে ট্রান্সফার বলে মত দিয়েছিলেন অনেক ফুটবল বিশ্লেষক। ইউনাইটেডে অপ্রত্যিশিত রকমের ব্যর্থতার পরে ডি মারিয়া যোগ দেন আরেক জায়ান্ট পিএসজিতে। এখনো সেখানেই আছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৯৭ ম্যাচ খেলা ডি মারিয়া অংশ নিয়েছেন তিনটি বিশ্বকাপে। অংশ ছিলেন ১৪’র রানার্স আপ দলের। পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলা ডি মারিয়া ফাইনাল মিস করেন ইনজুরির কারণে, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কষ্টদায়ক মুহূর্ত ছিলো।
সামনের ১৪ তারিখ ৩১ বছরে পা দিবেন ডি মারিয়া।