ইয়েমেন যুদ্ধে আল-কায়দার সহযোগীদের অস্ত্র সরাবরাহের অভিযোগেই খানিকটা বিপর্যস্ত্র সৌদি। এবার আরও বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে দেশটি। যুদ্ধে সৌদি সামরিক জোটের অন্যতম শরীক মরক্কো সরে আসছে ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে। মরক্কো জানিয়েছে, তারা সৌদি সামরিক জোটের সঙ্গে এখন আর ইয়েমেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না। সৌদি আরবের সঙ্গে মরক্কোর উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর একথা ঘোষণা করল রাবাত। সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠিয়েছে মরক্কো সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার মরক্কোর একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার দেশের সেনারা আর সৌদি আরবের সঙ্গে ইয়েমেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না। এছাড়া, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেরও অংশ নিচ্ছে না রাবাত। এর আগে কখনো মরক্কো সরকার ইয়েমেন যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেনি। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আফ্রিকার এ দেশটি সৌদি জোটে ছয়টি বিমান ও ১,৫০০ সেনা পাঠিয়েছে।
সৌদি জোট থেকে মরক্কোর সেনা প্রত্যাহারের আগে মালয়েশিয়া একই কাজ করেছে। গত বছর অবশ্য, মরক্কো বলেছিল, সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠনের জন্য ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা দরকার।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কথিত আরব জোট। যা ক্রমে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।