সামনেই ডাকসু নির্বাচন। সকল ছাত্র সংগঠন ইতিমধ্যে সরব হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতার ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। কিন্তু এরই মধ্যে মারধরের শিকার হলো সংগঠনটির আহ্বায়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এসে তিনি, ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
তার ভাষ্যমতে, আজ সোমবার বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসে ডাকসু’র ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে রাখাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিতে আসলে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাইসুলের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তার ওপর হামলা করে।
হাসান আল মামুন দাবি করেন, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ভীতি সৃষ্টি করতেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। তবে ঘটনার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই হামলার সাথে ছাত্রলীগের কেউই জড়িত ছিল না। ওদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে, কারো সাথেই ওদের ঝামেলা হলে সব দোষ চাপায় ছাত্রলীগের ওপর।
এদিকে হাসান আল মামুন প্রোক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে প্রোক্টর তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন বলে জানান হাসান আল মামুন।নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের এরকম কর্মকাণ্ড ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এছাড়াও ডাকসু’র ভবিষ্যৎকেও অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।