ডাকসু’র গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন, তবে হলেই থাকছে ভোটকেন্দ্র

ডাকসু’র গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন, তবে হলেই থাকছে ভোটকেন্দ্র

দীর্ঘ তিন দশকের অপেক্ষা পার করে নির্বাচনের মুখ দেখতে যাচ্ছে ডাকসু। আর তা হতে যাচ্ছে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বয়সসীমা ৩০ এর অনধিক নিয়মিত শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। অর্থাৎ প্রার্থীতা ও ভোটদান উভয়ক্ষেত্রেই এই বয়সসীমা প্রযোজ্য। অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল-এর শিক্ষার্থীরাও প্রার্থী হতে কিংবা ভোট দিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন তারাই শুধু অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্র হলগুলোতেই স্থাপন হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভাতে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সভা সিন্ডিকেট মিটিং শেষে এমন তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক এনামউজ্জামান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় প্রায় তিন দশক পর ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এসব সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৮ সদস্যের সিন্ডিকেটের ১৬ জনের সদস্যের উপস্থিতিতে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রস্তাবাবলি অনুমোদিত হয় বলে রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যে সব শিক্ষার্থী স্নাতক, সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত এবং যারা বিভিন্ন হলে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে সংযুক্ত রয়েছেন এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখে যাদের বয়স কোনোক্রমেই ৩০ বছরের বেশি হবে না, কেবল তারাই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার হতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, ৩০ বছরের ঊর্ধ্বের শিক্ষার্থীরা যে কোর্সেই অধ্যয়ন করুক না কেন, তারা ভোটার হতে পারবেন না।

ডাকসুর সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রস্তাবটিও সিন্ডিকেটে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, “সিন্ডিকেটের কার্যবিবরণী অনুমোদিত হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।”

এদিকে ডাকসু বিষয়ে ‘সিন্ডিকেট’এ নেয়া সিদ্ধান্তে ছাত্রলীগ সন্তোষ প্রকাশ করলেও হতাশা দেখা গেছে অন্যদের মধ্যে। হলের দখল ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হাতে থাকায় অন্য রাজনৈতিক অংশ চেয়েছিল ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে স্থাপন করা হোক। কিন্তু সিন্ডিকেট সেই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি। এতে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা- কর্মীরা। হতাশা দেখা গেছে ছাত্রদলের মধ্যেও। তারা মনে করছে, ভোটকেন্দ্রে হলে হওয়ায় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।