গতকাল সোমবারই আমেরিকার গ্রিন পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন বলেছিলেন, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে বর্তমান মার্কিন সরকারের অবস্থান প্রকৃত পক্ষে গণতন্ত্রের জন্য নয় বরং তেল সম্পদের জন্য। আর পরদিনই সে মন্তব্যই সত্যি হয়ে দেখা দিল। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র বিরুদ্ধে অবরোধ জারি করেছে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থনকারী সেনাবাহিনীকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা স্থানান্তরকে মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিফেন নুচিন ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, “ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার মিত্ররা এখন থেকে আর দেশটির জনগণের সম্পদ হরণ করতে পারবে না”। এ সময় যুদ্ধবাজ মার্কিন জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে অর্থমন্ত্রীর পাশে দেখা যায়।
বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইডোর নিজেকে দেশটির ‘অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই রাজনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। যেখানে গুইডোকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ভূরাজনৈতিক প্রতিবেশীরা সমর্থন দেয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, মাদুরোকে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও ইরানের মত বিশ্ব পরাশক্তি।
তবে এটা পরিস্কার যে, আমেরিকার নাক গলানোটা মোটেও ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কিংবা শান্তি ফেরানোর জন্য নয়। তা একান্তই দেশটিতে মজুদ থাকা তেল সম্পদের দিকে। ভেনেজুয়েলার মানুষকে সাবধান থাকতে হবে। যে কোন মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে মার্কিনিরা।
অন্যদিকে তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে এই রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি।