মাদুরোকে আগামী আট দিনের মধ্যে নতুন একটি নির্বাচনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি রাষ্ট্র। মূলত ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনই ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে এই চাপ সৃষ্টি করছে। দেশগুলো তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে ৮ দিনে নির্বাচন না দিলে অন্তর্বর্তি প্রেসিডেন্ট গুতাইডোকে পূর্ণ রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করবে তারা। উল্লেখ্য গুয়াইডো ভেনিজুয়েলার বর্তমান স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি।
ইউরোপের দেশগুলোর এই বিবৃতির পর ভেনিজুয়েলা বা মাদুরো কেউ এখনো কোন মন্তব্য করেনি। গত মে মাসে ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত রাষ্ট্রপতি হয় মাদুরো। বামপন্থী মাদুরো ভেনিজুয়েলার সাবেক রাষ্ট্রপতি হুগো স্যাভেজ এর একান্ত সহযোদ্ধা। স্যভেজের মৃত্যুর পরপরই রাষ্ট্রপতির আসনে বসে মাদুরো। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করে মাদুরোর জনপ্রিয়তা। নির্বাচনের পর থেকেই কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীদলগুলো। পুনঃনির্বাচনের দাবি আসে। নির্বাচন পরবর্তী অনিশ্চয়তা চলাকালীন অবস্থাতেই মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়েছে গুয়াইডো। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবি জানিয়েছেন তিনি। এরপর পরই ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে থেকে এমন চাপ আসা শুরু করে। মূলত ভেনিজুয়েলায় মাদুরো বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে নিজেকেই রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয় ৩৫ বছর বয়সী এই নেতা। তৎক্ষণাৎ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। অন্যদিকে মাদুরোর সমর্থনে যায় পরা শক্তি রাশিয়া ও চীন। ইরান, তুরস্ক সহ আরো কিছু দেশও সমর্থন দিচ্ছে মাদুরোকে।
এদিকে ভেনিজুয়েলার ইস্যুতে ইতোমধ্যে বিভিক্ত হয়ে গিয়েছে বিশ্বের পরা শক্তিগুলো। রবিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশের চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও চীনের ভেটো দেওয়াতে যা হয়ে ওঠেনি। বিবৃতির খসড়ায় উল্লেখ করা হয় ‘ভেনিজুয়েলার পার্লামেন্টকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির একমাত্র প্রতিনিধি’।