কার্চার

কার্চার

তারা উইড়া গ্যাছে, মহান;
আনটাচড, পটেনশিয়াল।

২.
বিকালের ঝাউগাছ বাইয়া
কুসুমালো পড়ছে গড়াইয়া
তাদের একটু ধইরা রাখতে পারো নাই!
ও ঝাউগাছ
রাইত ধইরা রাখো তো বেইন্যা-দুহরেও।

৩.
সব থুইয়া একদিন সময় আসে,
সেইদিন আমারেও থুইয়া
আমি দেখি ফ্যালফেইল্যা বাতাস
কলাপাতার মাথা নাচান্যা, বরই পাতার উল্টা পিঠ
আর এইসবের উপরে তামাটে রঙের রৌদ্দুর,
এইসবও থুইয়া আমি দেখি না কিচ্ছু।

৪.
ভাল না লাগলেও মন্দ লাগে নাই বইলা-
‘মোটামুটি’ কই তারে
যদি ভাল লাগল, পরে মন্দও;
এমন আবার…
তাকাইতে থাকি চাইরধারে; -লোকজন কি কয় তারে।

৫.
সব খতম হইবো যখন
কেমন আহা! কেমন জানি তখন,
আর কত বৎসর পর হইবো এমন?

কত বৎসর আর!–ভাইবা শূন্য শূন্য লাগে আমার।

৬.
ক্যান আসে না আজ, সামনের বহু বছর!
অথবা অল্প ক’দিন, তোমার লগে পরিচয়ের;
আসতে কি পারে না সামনে!

যদি হইবোই পরে, তবে আজ সেই সময়টা তুমিও ধরে_
ধরো, এমন কইরা শুরু করি আলাপ–
‘আর বইলো না, সারাদিনটাই এমন গেলো,
তোমার খবর বলো’।

৭.
মুখ আর চোয়ালই যখন হাসে
হাসে তো এমন!
বনসাই জীবন, উঁচা উঁচা পরিণত গাছ দেখে
দ্যাখে তো এমন!
কি হয় তখন! মিছা, মিছা,মিছা মনে হয়
মিছা তো দো’ই; এক ও দুই। জীবন–তিন, চার, পাঁচ, ছয়…

৮.
আমচুর আনছেন!
বহেন, সিগারেটও?
আরও কেউ কেউ আসবে?
আমাদের তো পরিচয় নাই কারোর,
যাক, কথা কইতে কইতে আমরা
মোটা আর চিকন চাল, সফট ড্রিংকস, হাড্রিংকস, বার্গার..বাদে
এমনিতেই আরো যা, বাদ হয়ে যাবে, তাস পিটাতে পিটাতে
মিয়া, চিন্তা কইরেন না, রাইত বাড়লে
আমরা সহজ হমুনে, স্বরে।–
একই সুর_প্রেম, কাম, দখলে।

৯.
একদিন এক ঢিলে পাড়া যাইতো যদি
আহা, বয়স তো কম হইলো না!
গুলতিতে, বোটা ছিইড়া পড়ত যদি!
–জীবন আমার হাতে। আহা, বয়স তো কম হইলো না!

১০.
অন্তর, তোমারে লইয়া থাকি আমি!
কই? তুমি আর আমি?
–দূর থিকা চাইয়া থাকি,
আমরা কার বহুদূরে, পেছন পেছন হাঁটি!