ডেভিড বার্গম্যান একজন ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী। প্রায়ই সময় লেখালেখি করেন বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে।নির্বাচনের পরদিনই ‘নির্বাচনের সুষ্ঠুতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গত ২২ জানুয়ারি তার ব্যক্তিগত ব্লগ ‘বাংলাদেশ পলিটিকো’তে লিখেছেন বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নিয়ে। লেখাটি জবান’র পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছেন, মাশকুর রাতুল।
যখন নির্বাচনকে তামাশা বানিয়েই জয় হাসিল করা যায় তখন শুধু শুধু একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে হারের ঝুঁকি নেয়ার দরকার কি?
আওয়ামী লীগের মনে এমন ভাবনাটিই ছিল তিন সপ্তাহ আগের অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে। ঐ নির্বাচনটি ছিল বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তামাশা যেখানে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়ী হয় এবং টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করে। গত শুক্রবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় তাদের বিজয় সমাবেশে বলেন “মনে রাখবেন, বিজয় অর্জনের চেয়ে বিজয় ধরে রাখাটা কঠিন।”
১৯৯৬ থেকে ২০০৯ এই ১৫ বছরে বাংলাদেশ তিনটি জাতীয় নির্বাচন দেখেছে, যদিও সহিংসতা ঘটেছে তবুও সেগুলো ছিলো তুলনামূলক স্বচ্ছ ও অবাধ। প্রত্যেক নির্বাচনেই এসেছে নতুন সরকার।তখন ক্ষমতার পরিবর্তন যে শুধু রাজনীতিবিদদের স্বভাবের জন্যই ঘটেছে এমন না, এর কারণ তখন একটি নির্দলীয় ও নিরেপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে একটি ‘লেবেল প্লেয়েইং ফিল্ড’র ব্যবস্থা করা হত।
২০১১ সালে নতুন ক্ষমতায় আসা আওয়ামীলীগ সরকার সংবিধানে সংশোধনী আনে, বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ম (পরিহাসের বিষয় এই যে, ১৯৯৬ এর নির্বাচনের পূর্বে এই দাবিতেই আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ)। তারা দাবি করে দলীয় সরকারের অধিনেই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগ সরকারের তখনকার সিদ্ধান্ত মোটেও জননন্দিত ছিল না এবং এর ফলশ্রুতিতেই বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য হয়। বিরোধীদের শঙ্কা ছিলো দলীয় সরকারের অধিনে কোনভাবেই একটি অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এর ফলেই আওয়ামী লীগ সেবার টানা দ্বিতীয় বার জয় হাসিল করে। সম্পূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বীহীন একটি নির্বাচনেই আসে সে জয়। যদিও আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের অধিনে হওয়া সে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ ছিল কিনা তা পরীক্ষিত হয়নি।
এই নির্বাচনে বিরোধীদল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অন্যান্য ছোটদলগুলোর সাথে জোট করে। জোটের নাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেয় নির্বাচনে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না তার জবাবটা তখনই পরিষ্কার হয়।
এই নির্বাচন কোন সাধারণ পরিহাস বা তামাশা ছিল না— এই তামাশা ছিলো খুবই শৃঙ্খল এবং শৃঙ্খলতার মধ্যদিয়েই এই নির্বাচনে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি। নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী কাউকেই এই দুর্নীতির বাহিরে রাখা হয়নি সবাই ছিলো এই পরিহাসের সহায়ক অংশ।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী তামাশা নির্বাচনের অনেক সপ্তাহ আগ থেকেই শুরু হয়েছিল। তফসিল ঘোষণা এবং প্রচারণা শুরুর পর থেকেই শুরু হয় বিরোধী দলীয় কর্মীদের গণ গ্রেফতার, প্রচারণা রক্তাক্ত ও মর্মান্তিক হামলার মাধ্যমেই তামাশার প্রকাশ শুরু হয়। বন্ধ করা হয় বিরোধীদল গুলোর প্রচারণা। রাজধানী ঢাকাতে বিরোধী প্রচারণা এমন ভাবে দমন করা হয় এবং নিজেরা এমনভাবে প্রচারণা শুরু করে যেন দেখে মনে হয় পুরো দেশে একটি আওয়ামী উৎসব চলছে।
বাংলাদেশে ভোটার বিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করার একমাত্র কৌশল হচ্ছে ভোটকেন্দ্র দখল করা। আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীবাহিনী, পুলিশ আর সেনা বাহিনী দিয়ে তাই-ই করেছে। ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যায় গোঁড়া আওয়ামী সমর্থকদেরকেই প্রিজার্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শক্ত পুলিশি ব্যবস্থা এবং এবং দানবীয় কর্মী বাহিনী দ্বারা ধীর গতিতে ভোট গ্রহণ চলেছে। এর মাধ্যমে বিরোধীগোষ্ঠী ভোট প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং আগের রাতেও ব্যালট বক্স ভরে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশে ভোটার বিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করার একমাত্র কৌশল হচ্ছে ভোটকেন্দ্র দখল করা। আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীবাহিনী, পুলিশ আর সেনা বাহিনী দিয়ে তাই-ই করেছে। ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যায় গোঁড়া আওয়ামী সমর্থকদেরকেই প্রিজার্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শক্ত পুলিশি ব্যবস্থা এবং এবং দানবীয় কর্মী বাহিনী দ্বারা ধীর গতিতে ভোট গ্রহণ চলেছে। এর মাধ্যমে বিরোধীগোষ্ঠী ভোট প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং আগের রাতেও ব্যালট বক্স ভরে ফেলা হয়েছে।
যে সকল কেন্দ্রে তুলনামূলক স্বচ্ছ ভোট হয়েছে বা যে সকল জায়গায় ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছে সে সকল কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মোট ভোটার সংখ্যার ৫০ শতাংশ। যে সকল আসনগুলোতে, মোট ২৯৪ আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে ৮০ শতাংশ। মূলত এই সব আসনেই আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার অভিযোগ এবং প্রমাণ দুটোই পাওয়া গিয়েছে। এর মাধ্যমেই খুব স্বচ্ছভাবেই ৩০ শতাংশ ভোটচুরি শনাক্ত করা যায়।
যদিও ইভিএম ব্যবহৃত কেন্দ্র গুলোর স্বচ্ছতাও প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সহ প্রিজার্ডিং অফিসারদেরকে নিজেদের আঙুলছাপ দিয়ে ভোট প্রয়োগের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার দেওয়া হয়।
বিরোধী দলের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা অবিশ্বাস্য রকমের কম ছিলো। যেমন বরিশাল এক আসনের কথাই উদাহরণ দেওয়া যাক, ওই আসনে ২৬টি কেন্দ্রে বিরোধীদলের ভোট সংখ্যা ছিলো শূন্য, ৯টি কেন্দ্রে মাত্র একটি করে ভোট এবং বাকি ৪০ কেন্দ্রে দশটি করে— এর মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় আগে থেকেই বিরোধী দলীয় ভোটগুলো সরিয়ে ফেলা হয় বা বিরোধী ভোটগুলোকে গণনার আয়তায়ই আনা হয়নি!
ভোট কেন্দ্রে সব তামাশা আর রাহাজানি সম্ভব হয়েছে বিরোধীদলের পোলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে যেতে না দেওয়ার ফলেই। ভোট গ্রহণ এবং গণনা কোন খানেই বিরোধী পোলিং এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি যদিও নির্বাচনী আইনে একাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এমন একটি নির্বাচন করে অন্য কোন দেশের সরকার টিকতে পারতো না আওয়ামী লীগ যেভাবে পেরে উঠছে। গত দশ বছর ক্ষমতায় থাকায় এমনটা সম্ভব হয়েছে। এই দশ বছরে বিরোধীদলের কর্মীদের গণগ্রেফতার এবং বিচারহীন হত্যা করে ধ্বংস করা হয়েছে। দলীয় লোকদের দ্বারা রাষ্ট্রের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্তর নিজেরদের আয়ত্তে রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ সবটুকুই তাদের দখলে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে নানাভাবে অচল করে রেখেছে এই সরকার। নানা বিধি নিষেধের ফলে গণমাধ্যমও তাই নিরব!
এর ফলে যারাই এই প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তারা ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। যেসকল স্বাধীন সংস্থায় নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কোনরকম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সব সংস্থাকেই সরকারি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে এবং চলছে হয়রানি।
যদিও সাধারণ মানুষের বিরোধীতার বা আন্দোলনের অভাবেই রাষ্ট্রীয় সকল নিপীড়নের ন্যায্যতা আসছে এবং ঠিক মত প্রকাশিত হচ্ছে না।
বাংলাদেশের সকল মানুষই আওয়ামী লীগের তামাশা সম্পর্কে অবগত আছে। তবুও প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সমর্থনে আন্দোলন করে নিজেদের বিপদ আনতে চাচ্ছে না তারা। আওয়ামী লীগের “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” নামক একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক উপস্থাপনা আছে যার অভাব লক্ষ করা যায় বিএনপিতে। একদিকে তাদের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের অভাব রয়েছে; অন্যদিকে তারা উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠী জামায়াত ইসলামের সাথে ঐক্যবদ্ধ যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ছিল দূর্নীতিগ্রস্ত এবং নানা রকম সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ।
যদিও বিএনপির বিশ্বস্থ কর্মীবাহিনী এখনো আছে তবুও তাদের ভোট পাওয়ার মূল কারণ আওয়ামী লীগকে অপছন্দ করা— কোন রাজনৈতিক সঙ্গত কারণ বিএনপি এখনো হাজির করতে পারেনি। আর এই কারণেই মানুষ এখনো সংগঠিত হয়ে রাজপথে নামতে পারছে না। আর একটি নির্বাচন বা যে কোন মূল্যে মানুষ এখন আওয়ামী লীগের বিকল্প চায়।
নির্বাচনে ইতিবাচক বিষয়ের অভাব থাকাতেই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যন্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এর সমালোচনা করে আসছে। যদিও এই নির্বাচন ও সরকার দুটোর উপরেই চীন ও ভারতের প্রভাব ও সমর্থন থাকায় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কোন সমালোচনা হালে পানি পাচ্ছে না।
এর কারণেই শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বের উপর তাৎক্ষণিক কোন হুমকি আসেনি। যদিও নির্বাচনের পর তার দলের নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ভঙ্গুর ভাব চলে এসেছে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে।
অন্যদিকে এদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাও আছে চরম বিপদে। আওয়ামী লীগের অন্তরঙ্গ মানুষদের দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মালিকানা নেয়া এবং এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া যা কখনই পরিশোধ করবে না তারা, এসব কিছুই হয়ে আসছে। সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে মোট প্রদত্ত ঋণের ১০ শতাংশ অপ্রাপ্য বা খেলাপি হয়ে যাবে। তবে আসলে মোট ২০ শতাংশ ঋণ খেলাপি পর্যায় পড়ে কারণ বড় এবং দূর্নীতিগ্রস্থ ঋণ গ্রহীতারা বারংবার তাদের ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছে।
জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসকে অবলম্বন করেই শেখ হাসিনা তার নতুন ক্ষমতাকে বৈধ করতে চেষ্টা করছে। যদিও এমনট খুব কঠিন হবে, প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ শিক্ষিত তরুণ চাকরির বাজারে আসছে, চার কোটির উপরে শিক্ষিত তরুণ এখনো বেকার। বেসরকারি বিনিয়োগ কমিয়ে এবং নিয়োগ যোগ্য দক্ষতাহীন শিক্ষাব্যাবস্থা দিয়ে এসব কিছু টিকিয়ে রাখা বেশ মুশকিল, প্রায় অসম্ভব। এই অর্থনীতি যদি লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয় তবে এদেশ বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হবে।
অন্যদিকে এদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাও আছে চরম বিপদে। আওয়ামী লীগের অন্তরঙ্গ মানুষদের দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মালিকানা নেয়া এবং এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া যা কখনই পরিশোধ করবে না তারা, এসব কিছুই হয়ে আসছে। সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে মোট প্রদত্ত ঋণের ১০ শতাংশ অপ্রাপ্য বা খেলাপি হয়ে যাবে। তবে আসলে মোট ২০ শতাংশ ঋণ খেলাপি পর্যায় পড়ে কারণ বড় এবং দূর্নীতিগ্রস্থ ঋণ গ্রহীতারা বারংবার তাদের ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছে। এখন যে কোন ব্যাংক সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র— যা এদেশকে জাতীয় সমস্যার একটি চূড়ান্ত রূপ দেখাতে বাধ্য করবে।
যদিও এখন আওয়ামী লীগকে প্রশ্নাতীত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে তবুও সরকার এখন যে কোন রকমের গণ আন্দোলনের ভয়ে অস্থির হয়ে থাকবে। কারণ যেকোন অসন্তোষ মানুষকে রাজপথে নামিয়ে দিতে পারে। আর একারণেই যে কোনভাবেই আওয়ামী লীগ চাইবে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামকে নির্মূল করতে। তাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে চলবে চরম পর্যায়ে সমালোচনা যার মাধ্যমে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোন প্ল্যাটফর্ম পাবে না।
তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশে নগ্ন কর্তৃত্ববাদ দেখা না দেবে— যার মাধ্যমে স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হবে ততক্ষণ আওয়ামী লীগের জন্য সামনে কোন হুমকি আছে বলে মনে হচ্ছে না এবং রাজপথও ঠাণ্ডা থাকবে। এখনো আওয়ামী বিরোধী শক্তিকে জোরদার দেখা যাচ্ছে এবং তাও এমন একটি প্রহসনের নির্বাচন ন্যায্যতা পাচ্ছে যা ভবিষ্যতের দিনগুলোকে মারাত্মক ভয়াবহ করে তুলবে। তবুও আওয়ামী লীগ ততদিন নিরাপদ থাকবে যতদিন না বিরোধীদল জনগণের সামনে নিজেদেরকে একটি ইতিবাচক, বিশ্বাসযোগ্য ও শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে না পারছে!