শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী তাইমুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে বক্তারা প্রধানমন্ত্রী ব্যতিত কারো কাছে বিচার চাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন৷
আজ মঙ্গলবার(২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এর ব্যানারে আয়োজিত ‘মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ’ এ বক্তারা এসব কথা বলেন৷ যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.হাকিম আরিফ এর সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহন করেন ৷
ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক কাজী নাজনীন চৌধুরী বলেন, একজন মা হিসেবে ,একজন শিক্ষক হিসেবে এবং একজন বোন হিসেবে এ ঘটনা খুবই কষ্টের৷ আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি৷ উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে বলছি এটা একটা খুন,এই খুনের দায় প্রতীকের বিভাগের কোনো শিক্ষক এড়াতে পারেন না৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো কাছে বিচার চাওয়ার সুযোগ নেই৷ আমরা আপনার কাছেই সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি৷ তাইফুর রহমান প্রতিকের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান খোলা চিঠিতে বলেন, ‘জিইবি বিভাগে গত নিয়োগে অনার্সে ১ম ছাত্রকে শিক্ষক হিসেবে নেয়া হয়েছে৷কিন্তু এবার তারা বিজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কেন ভাইবা কার্ড দেননি? কিন্তু আমরা সে বিষয়ে কিছু বলিনি। আমার ভাই কেবল অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই আবেদন করেছিল৷ একজন সুপারভাইজার কীভাবে তার ছাত্রকে আবেদন করতে মানা করতে পারে?? এই প্রশ্নের উত্তর আমার শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতায় নেই৷ তবু আমরা সেটি হাসি মুখে মেনে নিয়েছি৷ আমাদের পরিবার থেকে আমার ভাইকে পড়াশুনা করতে বলা হয়েছে’৷ মানবন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. সালমা নাসরীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি তাইফুর রহমান প্রতীক আত্মহত্যা করেন৷তার মাস্টার্সের পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে৷প্রতীক অনার্সে ৩.৮২ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম হলেও মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারে তার জিপিএ কমে হয় ৩.৫৮৷ আর দ্বিতীয় সেমিস্টারে তার রেজাল্টে ধস নেমে সিজিপিএ হয় ৩.০৮৷