ঝুলে আছে রোহিঙ্গা ইস্যু, তিস্তার পানির সুষম বন্টন হয়নি আটচল্লিশ বছরেও, কমেনি সীমান্তে হত্যার পরিমাণ। তারপরও কোনো ইস্যু ছাড়াই শ্রেফ সৌহার্দ্যপূর্ণ সফরে ভারত যাচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
গতকাল রবিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ভারত আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। দেশটির সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং সেটি অত্যন্ত উষ্ণ। সেই সম্পর্ক ধরে রাখতে এবং দিল্লির আমন্ত্রণে সাড়া দিতেই প্রথম বিদেশ সফরে ভারত যাচ্ছি। যাচ্ছি। দিল্লি সফরে তিস্তা বা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা হবে কি-না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিষয় আসতে পারে। তবে এসবের কোনো কিছুই মুখ্য নয়, আমি যাচ্ছি সৌহার্দ্যপূর্ণ সফরে। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার ফোরাম জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন জেসিসি’র বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়া ছাড়াও দেশটির শীর্ষ পর্যায়ে তার সৌজন্য এবং পরিচিতিমূলক সাক্ষাৎ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আমন্ত্রণে আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাচ্ছেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ৭ই জানুয়ারি নবগঠিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশযাত্রা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর হওয়া উচিত ছিল রাষ্ট্রীয় স্বার্থে। কিন্তু তা না হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়াটা হতাশাব্যঞ্জক। যদিও ক্ষমতাসীন সরকার সবসময়ই ভারতের সাথে সুসম্পর্কে ‘সব দিয়ে দিয়েছি’ ভূমিকায় থাকেন। নির্বাচনের আগেও সেরকম সফর লক্ষ্য করা গেছে। সফর রাষ্ট্রীয়, অর্জন শূন্য।