অবশেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম স্বীকার করে নিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নির্বাচন ‘যথাযথ’ হয়নি, এমন মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে এই স্বীকারোক্তি দিলেন তিনি।
আজ রবিবার রাজধানীর সেতু ভবনে বিভিন্ন ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “কোন দেশে ইলেকশন পারফেক্ট হয়েছে, একটা দেশ দেখান। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পারফেক্ট বলে যে কথাটি বলা হয় তাতেও কিছু খুঁত তো থাকেই। তাতে ইলেকশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না।”
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার জন্য জাতিসংঘ যে আহ্বান জানিয়েছে সে বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কথা বলেনি। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপ হতেই পারে। আমাদের প্রয়োজন হলে পরে সেটা দেখা হবে।”
গতকালই আওয়ামী লীগ বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে। মূলত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৈতিক পরাজয় ঘটেছে দলটির, যার ফলে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর একটা চেষ্টায় রত। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এখন ওবায়দুল কাদেরের অনিয়মের কথা স্বীকার করে নেওয়াটা এবং মোহাম্মদ নাসিমের অভ্যূত্থানের আশঙ্কা মিলে আওয়ামী লীগ খানিকটা শঙ্কিত। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় বসে থাকা কখনোই স্বস্তির নয়, তাই-ই প্রকাশ পাচ্ছে সরকারদলীয় নেতাদের কথায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তরে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এখন এটি স্পষ্ট যে নির্বাচন নিখুঁত ছিল না এবং আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবন যতটা সম্ভব ইতিবাচক করতে বাংলাদেশি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন অংশকে অর্থবহ সংলাপে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করি।”