‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কী বোঝায়?’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কী বোঝায়?’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত

রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কী বোঝায়’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ই জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত লেকচারে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট-এর আয়োজনে এটি ছিলো ২৮তম মাসিক পাবলিক লেকচার। লেকচারের প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ‘জনশক্তি’ উৎপাদনের সম্পর্ক আছে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজ ও জনগণ পর্যন্ত ছড়াবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল অব্যবহিত লাভ নেই এমন বিদ্যাচর্চা সম্ভব।

বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়ানোর বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার নামে যা পড়ানো হয়, তা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা নয়। এগুলো মূলত ‘বৃত্তিমূলক পড়াশোনা’।

বাংলাদেশে কোনও মাস্টার্স প্রোগ্রাম আদৌ নেই দাবি করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কোনও মাস্টার্স প্রোগ্রাম নেই; যা আছে তা হলো ‘Extended Honours’। মূলত অনার্সের (স্নাতক) পড়াশোনাকে একটু ইলাবোরেট করে এটি করা হয়ে থাকে; এতে কোনও নতুনত্ব নেই।”

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অতিমাত্রায় অনমনীয়, যা ‘বিশ্ববিদ্যালয় ধারণা’র পরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন মানে হলো একই বয়সে ভর্তি, একই বিষয়ে পাঁচ বছর, বিকল্পহীন ছাঁচে একটি জীবন। অথচ দুনিয়াজুড়ে একাধিক ডিগ্রীর ছড়াছড়ি; অথচ আমাদের এখানে মাস্টার্সেও অন্য বিষয়ে করার সুযোগ নেই।”

সভাপতির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে বা করছে এবং এটা আমাদের কাছে সাধারণ বিষয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে আজকাল। অথচ এমন বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করবে —এমন ব্যাপারটি অত্যন্ত ভয়াবহ!

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ঢাবি শিক্ষকদের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ‘অভূতপূর্ব নির্বাচন’ নিয়ে ১১০৪ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। সরকারের তোয়াজ কর‍তেই ব্যস্ত আমাদের শিক্ষক সমাজ। এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।