আরিফ রহমান’র ৭টি কবিতা

আরিফ রহমান’র ৭টি কবিতা

১.

আমি শয়তানের কাছ থেকে শিখি

সালাতে দাঁড়ানোর গূঢ়ার্থ।

আর আদমের কাছ থেকে শিখি

সেজদাহর কি মাহাত্ম্য।

২.

শারাবের সাকি যদি

খোদ জিব্রাইল না হয়,

তাহলে তা আর

শারাব হয় কি করে?

৩.

হে যুবক,

যে দল কিংবা মত

তোমাকে জীবন গূঢ়ার্থের

অর্থ দানে ব্যর্থ!

ক্ষুদ্রতার মুখোশ জ্বালিয়ে

সত্যের আলোকিত আহ্বান জানাতে অক্ষম!

সে দল কিংবা মত তোমার নয়!

সে মত-পথ কেবল তাদের কাছেই পূজনীয়

যারা অজ্ঞতার আঁধারে বন্দি সহস্র কাল!

সে পথ তাদেরই পথ

যারা চোখ থাকা স্বত্ত্বেও দৃষ্টিহীন!

যারা কান থাকা স্বত্ত্বেও বধির!

যারা রাত দিন কথা বলেও বোবা!

তোমার পথ তো চির উজ্জ্বল সত্যের।

তুমিতো অনন্ত পথের মহা মুসাফির।

৪.

মোল্লাকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে

বয়ান দেয় অন্ধ জাতীয়তাবাদী!

অন্ধ জাতীয়তাবাদীকে জাতীয়তা

নিরপেক্ষ হতে বয়ান দেয় মোল্লা!

এই অর্থহীন তর্ক বহুকাল ধরে চলছে!

খোদার পয়গাম হাতে পয়গম্বর বলেন,

হে এক চোখা সম্প্রদায়,

তোমরা উভয়েই ধর্ম এবং জাতীয়তা নিরপেক্ষ হও।

অতপর নিজেদের রাঙাও ন্যায় এবং সত্যের রঙে।

৫.

ফেরাউন কিংবা আবু জেহেল

তারা কেবল ব্যক্তি’ই নন!

এগুলো হলো সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো!

যে কাঠামো ব্যক্তিকে খোদায়ী রঙে

রঙিন হতে বাধা প্রধান করে,

সেটাই ফেরাউন কিংবা আবু জেহেল।

৬.

আমি বারবার ফিরে আসি!

হাল্লাজের মতো উচ্চারণ করতে পারি না

মৃত্যুকে উপেক্ষা করে ‘আমি’ই সত্য’!

সক্রেটিসের মতো হেমলক হাতে বলতে পারি না

“আমি মৃত্যুকে বেঁছে নিলাম,

তোমারা বেঁচে থাকো,

ঈশ্বরই জানেন কে জীবিত, আর কে মৃত!”

৭.

সবই ফিরে আসে

ফিরে আসে ভিন্ন মোড়কে

ভিন্ন সময় কালে!

যেমন করে ফিরে আসে

উন্নয়নের বয়ানে স্বৈরাচার!

গনতন্ত্রের ছদ্মবেশে ফেরাউন!

তবে জেনে রেখো,

সবই যেহেতু ফিরে আসে

ফিরে আসে সত্য এবং ন্যায়ের ধারক

মানব মুক্তির মশালধারী মুসাও!

সে মুসা আমি তুমি এবং আমরাই হবো।

যদি ধারণ করি হৃদয়ে শতভাগ

সত্য ন্যায় এবং মানব মুক্তির ঐশী মশাল।