পাবলো, ফেলিক্স এবং স্বৈরশাসন : আশ্চর্য উত্থান এবং নির্মম পতনের গল্প

পাবলো, ফেলিক্স এবং স্বৈরশাসন : আশ্চর্য উত্থান এবং নির্মম পতনের গল্প

নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিরিজের অন্যতম সেরা দুটি সৃষ্টি নার্কোস এবং নার্কোস মেক্সিকো। মাদক সাম্রাজ্যের অন্যতম দু’টি চরিত্র, যারা মুখতালিফ গড়ে দিয়েছিলেন আশ্চর্য নাজাকাতের সাথে; সে পাবলো এস্কোবার এবং মিগুয়েল ফেলিক্সের ফানা হবার পূর্ব পর্যন্ত সময়কাল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নার্কোস এবং নার্কোস মেক্সিকো। সময়ের পরিক্রমায় এতকাল পরে আশ্চর্যজনক ভাবে এ দু’জন যেন এখন খুবই প্রাসঙ্গিক আমাদের জীবনে। মাদক সাম্রাজ্যের সাথে স্বৈরশাসনের সামঞ্জস্য খোঁজা বোধকরি তাত্ত্বিকভাবে ঠিক হবে না। আমরা শুধু রূপক অংশটা দেখার চেষ্টা করবো। বর্তমান বিশ্বের হালহাকিতাত সম্পর্কে যারা জ্ঞাত তারা সকলেই জানেন যে, স্বৈরশাসনের জাল ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্বময়।

অধ্যায় এক : উত্থান 

পাবলো এবং ফেলিক্সের উত্থান বলতে গেলে শূন্য থেকেই। পাবলো যেমন ককরোচের কূটবুদ্ধিতে সাওয়ার হয়ে চড়েছিলেন সিংহাসনে তেমনি ফেলিক্স সহায়তা পেয়েছিলেন ডন নেতোর। স্বৈরশাসনের ইতিহাস লক্ষ্য করলে এমন বহু ককরোচ এবং নেতোর মতন বহু চরিত্রের দেখা মিলবে। যারা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যুগে যুগে জনম দিয়েছেন পাবলো, ফেলিক্সদের মতন মানুষদের। এ উত্থানটাও কখনোই সোজা পথে হয়নি। ফেলিক্স যেমন নিজের ডনকে হত্যা করেছিলেন ঠাণ্ডা মাথায় তেমনি যুগে যুগে জনম নেয়া স্বৈরশাসকরাও শাসক হয়েছেন রক্তে রঞ্জিত হাত নিয়ে।

অধ্যায় দুই : সহযোগী 

পাবলো বা ফেলিক্স ককরোচ এবং নেতোর সহায়তায় সাম্রাজ্য তৈয়ারের প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করলেও শুধু দু’জনকে দিয়ে সম্রাট হওয়া যায় না। এখানে দু’জন দুটি পথ ধরে এগিয়েছেন। পাবলো যেমন পুরো রাজ্যটাই গড়ে তুলেছিলেন নিজের বিশ্বস্ত সব লোকজন দিয়ে সেখানে ফেলিক্স বেছে নিয়েছিলেন কতৃত্বপরায়ণতার পথ। বিশ্বস্ত না হলেও তিনি তার সার্কেলে যোগ্য ব্যক্তিদের সমাবেশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন সূনিপুণ ভাবে। এক্ষেত্রে ফেলিক্সের হাতিয়ার ছিলো ভয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সম্পুর্ণ দুটো আলাদা মডেল হলেও কাজ করেছে দুটোই। পাবলোর বিশ্বস্ত সঙ্গীরা যেমন পাবলোকে পাবলো হতে সাহায্য করেছে তেমনি ফেলিক্স ভয়কে জনম দিয়ে ঠিকই কাজ আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে যে বিষয়টি একটু খেয়াল করা দরকার, সেটি হচ্ছে পাবলোর সাম্রাজ্য নিজের আদমিদের দ্বারা সেভাবে কখনোই হুমকির মুখে পড়েনি। অপরদিকে ফেলিক্সকে সব সময় সচেতন থাকতে হয়েছে সাম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে। একই রকমভাবে স্বৈরশাসনের ইতিহাস যদি আমরা খেয়াল করি, দেখা যাবে যে; যে সব শাসক শুধু ভয় দেখিয়ে কতৃর্ত্ব কায়েম করতে চেয়েছেন তারা সে অর্থে কখনো স্বস্তি পাননি। প্রথম সিজনে ফেলিক্সের পরিণতি না দেখানোয় এর শেষটা কেমন হয় তা এখনই আলোচনা করছি না। স্বৈরশাসন সর্বদাই বল নির্ভর। কিন্তু সেখানেও একটি পার্থক্য রয়েছে। ভরসা করার মুখগুলোকেও যদি ভয় দেখিয়ে পথে রাখতে হয় তখন সে শাসন ভিতর থেকে বেশ দুর্বল থাকে যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না।

অধ্যায় তিন : সুযোগ সন্ধানী চরিত্রের ব্যবহার 

পাবলো বা ফেলিক্সের মতন মাদক সম্রাটদের উত্থানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্তারা। ফেলিক্স সরকারে সবচেয়ে উচ্চপদের একাধিক আদমিকে পকেটে ভরেছিলেন। পাবলো ঠিক ঐ পথে না হেটে নিজেই চেষ্টা করেছিলেন সরকারের সভ্য হবার। এই দুই শীর্ষ মাদক সম্রাট শূন্য থেকে শীর্ষে উঠেছিলেন ছোট থেকে বড় সকল পর্যায়ের কর্তাদের সহায়তা নিয়ে। পাবলোকে খোঁজার সকল ইন্তেজামই যেমন বারবার মার খেয়েছে পুলিশের কারণে, তেমনি ফেলিক্সকেও কেউ ছুঁতে পারেননি সরকারের উচ্চ মহলের কারণে। এখানে নার্কোস মেক্সিকোর একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করা যায়, যেখানে ফেলিক্সকে গ্রেফতারের একদম দারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিলো ডিইএ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্তার কর্মে সে যাত্রায় রক্ষা পান ফেলিক্স। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে রাষ্ট্রযন্ত্রের সুবিধাবাদী অংশ সবসময়ই তৎপর থাকে এ ধরনের চরিত্রগুলোকে সাহায্য করার জন্য। নিজ স্বার্থ চরিতার্থের অভিপ্রায়ে তারা জনম দেন পাবলো, ফেলিক্সদের। স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রেও কী আমরা খুব একটা ব্যতিক্রম দেখি? প্রত্যেক স্বৈরাচারই প্রতক্ষ্য সহায়তা পেয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে যুক্ত এমন সব চরিত্রের। তারা নিজ স্বার্থে শাসকের হয়ে বিরোধীমত দমন সহ সকল প্রকার কর্মজজ্ঞেই অংশ নেন নিজ স্বার্থে। আর এ অনাচার বিরুদ্ধে যারা থাকেন তারা গুটিয়ে থাকেন এদের ভয়ে।

অধ্যায় চার : বৈধতার নাটক 

পাবলো তার বিশাল সাম্রাজ্য বৈধ করার চেষ্টা করেছিলেন ট্যাক্সি ব্যবসাকে দেখিয়ে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য নিয়তই দান করতেন নিজ শহর মেডেয়িনে। অবহেলিত একটি শ্রেণি, যারা বিবিধ কারণে বাইরের জগত সম্পর্কে অজ্ঞ, তারা এই দানকে দেখতো ইতিবাচকভাবে। যার ফলে পাবলোর নিজ শহরে বেশ ইতিবাচক একটা ইমেজ তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। ফেলিক্সকে সে পথে হাটতে দেখা না গেলেও তিনি তার অর্থের বৈধতা দেখানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন হোটেল ব্যবসাকে। স্বৈরশাসকদের বেলায় এ বৈধতার জন্য ব্যবহার হয় উন্নয়নের মুলো। তারা চোখ ধাঁধানো সব প্রকল্প দিয়ে চেষ্টা করেন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে। এটি সবার বেলায়ই সত্য। একটি সাম্রাজ্য, সেই যাই হোক তার বৈধতার সংকট কখনো স্বস্তি দেয় না। মাদক সম্রাটদের কাউকে যেমন সাজতে হয় ব্যবসায়ী বা দানবীর তেমনি, স্বৈরাচারদের সাজতে হয় উন্নয়নের রুপকার।

নার্কোস মেক্সিকো’র দৃশ্যে মিগুয়েল ফেলিক্স

অধ্যায় পাঁচ : বিরোধীতার পরিণাম 

পাবলোর বিরোধীতার পরিনাম কতটা নির্মম তা দেখা গিয়েছে নার্কোসের দু’টি সিজনে। আইনমন্ত্রীকে নির্মমভাবে তার গাড়িতে হত্যা, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে হত্যার জন্য প্লেন বোম্বিংয়ে নিরীহ শতাদিক মানুষকে হত্যার চিত্র আমরা দেখেছি। শুধু এ দুটোই না, পাবলোর জীবদ্দশার পুরোটা সময়ে এমন অসংখ্য ঘটনার তিনি জনম দিয়েছেন। যখনই কাউকে পথের কাটা মনে হয়েছে তখনই নির্মমভাবে তাকে সড়িয়ে দিয়েছেন কায়ানাত থেকে। একইভাবে ফেলিক্সওকেও সে পথে হাটতে দেখা গিয়েছে। ডিইএ এজেন্ট কিকিকে নিজের জন্য বিপদজনক মনে হওয়ায় বিভৎসভাবে তাকে হত্যা করেন ফেলিক্স। শুধু যাদের নিয়ে শঙ্কা হয়েছে তারাই যে নির্মমতার শিকার হয়েছেন তা না; অনেক সময় এই নিষ্ঠুরতার শিকার হতে দেখা যায় ঐসকল আদমির পরিবার পরিজনকেও। একইভাবে স্বৈরশাসকরাও যেসকল কন্ঠস্বরকে হুমকি বলে মনে করেন তারাই কন্ঠরোধকেই মনে করেন নিরাপদ পথ। পাবলো বা ফেলিক্সরা মাফিয়া জগতের অধিকর্তা হওয়ায় তাদের রাখঢাকের প্রয়োজন পরেনি। শাসকরা যেহেতু সরাসরি জনগণের সাথে সম্পর্কিত তাই তারা ঐ পথে হাটতে পারেন না। সেজন্য তারা বিভিন্ন কথিত অভিযান পরিচালনা করেন, কখনো আইনের জালে আটকান কখনো বা উধাও করে দেন। মোদ্দাকথা, বিরোধীতার পরিণাম সব সময়ই ভয়াবহ।

অধ্যায় ছয় : পতনের মুখেও টিকে যাওয়া 

পাবলো, ফেলিক্স দুজনের ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি তাদের কর্ম যখন সকল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলো তখন দুজনই মুখোমুখি হয়েছিলেন বিরুপ পরিস্থিতির। পাবলো ঠাই নিয়েছিলেন নিজের তৈরি কয়েদখানা লা কাতেরদালে এবং ফেলিক্স পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন গ্রেফতার এড়াতে। পাবলোও লা কাতেরদাল থেকে পালিয়ে পুনোরায় নিজের সাম্রাজ্য ফিরে পান, ফেলিক্সও শেষ মুহুর্তে ছাড়া পেয়ে যান প্রত্যুৎপন্নমতিতার জন্য। দু’জনের ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি, যখন পতন অনিবার্য বলে মনে হচ্ছিলো তখনই তারা আশ্চর্যভাবে আরো ক্ষমতা নিয়ে ফিরেছেন। এখানে একটি বিষয় খেয়াল করা দরকার। দু’জন কিন্তু সাম্ভাব্য পতন ঠেকিয়েছিলেন দু’ভাবে। কিন্তু দুজনই সাহায্য পেয়েছিলেন রাষ্ট্রযন্ত্রের। পাবলোকে যেমন পালাতে সাহায্য করেছিলো তার পয়সার লোভে লোভী একটি দল অপর দিকে ফেলিক্সের অস্ত্র ছিলো উচ্চ পর্যায়ের গোপন তথ্য। স্বৈরশাসকদের ক্ষেত্রেও আমরা এমনটা দেখেছি। যখন মনে হয়, পতন অনিবার্য তখন আশ্চর্যভাবেই যেনফিনিক্স পাখির মতো টিকে যান তারা। এখানে, যথারীতি সহায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের দুটো পক্ষকে। যারা হয় লোভী থাকে অথবা নিজ কৃতকর্মে ভীত হয়ে সাহায্য করে স্বৈরাচারকে।

অধ্যায় সাত : পূনর্জন্ম থেকে জন্ম নেয়া দাম্ভিকতা 

পাবলো এবং ফেলিক্স দু’জনই শেষ থেকে বেঁচে যাবার পরে ফিরেন আরো দাম্ভিক হয়ে। পাবলো লা কাতেরদাল থেকে পালানোর পর হয়ে ওঠেন আরো ভয়ানক। তবে, পূনর্জন্মের পথেই তার একটি ভুল নিশ্চিত করে তার পতন। নিজের দুই সহকারিকে লা কাতেরদালের ভিতরে হত্যার ফলাফল পাবলো আঁচ করতে পারেননি। ক্ষমতার দম্ভ এবং সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য মরিয়া ভাব পাবলোর স্বাভাবিক ভাবনার পথ তার অজান্তেই রুদ্ধ করে দিয়েছিল। পালিয়ে তাৎক্ষণিক পতন তিনি ঠেকিয়েছিলেন বটে, তবে পাকাপোক্ত করেছিলেন নিজের কবর খোড়ার ব্যবস্থা। ফেলিক্সের পরিণতি দেখার জন্য যেহেতু পরের সিজন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাই আপাতত তাকে নিয়ে আলোচনা করা যাচ্ছে না। তবে, আমরা সাদৃশ্য যেহেতু স্বৈরশাসকদের সাথে খুঁজছি তাই এ মুহুর্তে ফেলিক্স প্রসঙ্গ না আসলেও অসুবিধা নেই। অনিবার্য পতন ঠেকাতে স্বৈরাচাররা মরিয়া হয়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালায় সাম্রাজ্য রক্ষার। কখনো সখনো সাদা দৃষ্টিতে তাদের সফল বলেও মনে হয়। কিন্তু, সাদা চোখে দেখা সেই ভ্রান্ত সফলতাই তাদের করে তোলে আরো দাম্ভিক, বাধ্য করে ভুল করতে। যা তাৎক্ষণিকভাবে তারা অনুধাবন করতে পারেনন না।

অধ্যায় আট : নির্মম পতন 

এ অধ্যায়টায় শুধুই পাবলোর সাথে সাদৃশ্য খুঁজবো আমরা। যেহেতু ফেলিক্সের পরিণতি পরের সিজনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগের অধ্যায়ে যেমনটা বলা হয়েছে, অনিবার্য পতন ঠেকানোর তৃপ্তি পাবলোর পতনের অন্যতম কারণ। এবং সে সময় নিজের অজ্ঞাতেই মনকাডাকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে নিজেরও মরন ডেকে এনেছিলেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাধর মাদক সম্রাট, যাকে ধরা একসময় আকাশ কুসুম কল্পনা বলেই মনে হচ্ছিলো সেই পাবলোর নির্মম মৃত্যু আমরা দেখেছি। নিঃসঙ্গ অবস্থায়, পথ কুকুরের মত পড়ে ছিলো তার মৃতদেহ। যাকে ধরাই সম্ভব বলে মনে করা যাচ্ছিলো তার সে লাশ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন সে অভিযানের অন্যতম সদস্য ডিইএ এজেন্ট মার্ফি। ক্ষমতাসীন মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থীকে হত্যা করেও পার পেয়ে যাওয়া পাবলোর মরনের কারণ হয়েছিলো তুলনামূলক অখ্যাত মনকাডা! স্বৈরাচারদের ক্ষেত্রেও কিন্তু আমরা এমনটিই দেখেছি। ক্ষমতা সুসংহত করার মরিয়া চেষ্টায় তারা এমন ভুল করে বসেন যেটি বাকি সব ভুলের তূলনায় নস্যি। অথচ, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এমন ভুলই অবিশ্বাস্য পতন ডেকে আনে স্বৈরাচারদের।

অধ্যায় নয় : উপসংহার 

পাবলো এবং ফেলিক্সকে দেখে এটা স্পষ্টই বোঝা যায় অবৈধ সাম্রাজ্য তা যতই আলো ঝলমলে হোক না কেন, তার মধ্যে স্বস্তি নেই। এবং একজন মাদক সম্রাট যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, তার পতন অনিবার্য। তেমনি একজন স্বৈরাচার যতই নিজের গুণগান গাক, তার মনের খচখচানি বেশ বোঝা যায়। আর ইতিহাসই সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারদের যতই ক্ষমতাবান মনে হোক তাদের পতনও নিশ্চিত। শুধু সময়ের হেরফের হয়।