কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির অভিজাত ‘হোটেল ডুসিটডি২’-এ সোমালি সশস্ত্র সংগঠন আল শাবাবের হামলায় নিহত হয়েছে ২১ জন বেসামরিক লোক। হামলা শুরুর পর থেকে শত শত মানুষকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে হামলা শুরু হওয়ার ২০ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ গতকাল বুধবার বিকালেই উদ্দার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা। এরপর পাঁচ হামলাকারীর রক্তাক্ত মৃতদেহ প্রকাশ করে স্থানীয় গণমাধ্যম।
সশস্ত্র সংগঠন আল শাবাব এ হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে তারা এ হামলা চালিয়েছে।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তা বলেছেন, “নিরাপত্তা অভিযান শেষে হয়েছে এবং সব সন্ত্রাসী নির্মূল হয়েছে।” তবে মোট কতোজন হামলাকারী ছিল তা উল্লেখ করেননি তিনি, কিন্তু সিসিটিভির ক্লিপগুলোতে কালো পোশাক পরা অন্তত পাঁচ হামলাকারীদের দেখা গেছে; তাদের কারো কারো গায়ে সবুজ রংয়ের গ্রেনেড বেল্টও ছিল।
কেনিয়ার পুলিশ প্রধান যোশেফ বোয়িনেট জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যসহ ১৬ জন কেনীয়, টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক মার্কিন ও এক ব্রিটিশ উন্নয়ন কর্মী রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন আফ্রিকান নিহত হলেও তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নাইরোরির এই একই এলাকার ওয়েস্টগেট শপিং সেন্টারে একই ধরনের আরেকটি জঙ্গি হামলায় ৬৭ জন নিহত হয়েছিল।