ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ৬৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ৬৩

‘বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’এ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৬৩ জন অনলাইন ও সাংস্কৃতিক সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক।  গত ৮ অক্টোবর ২০১৮ আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকে এই গ্রেফতার করা হয়। এদের বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও ব্লগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনার জন্য গ্রেফতার হয়েছে।

গত ৮ অক্টোবর ২০১৮ রাষ্ট্র আব্দুল হামিদ বিতর্কিত এই বিলে স্বাক্ষর করেন, যা ওই বছরই ১৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় পাশ হয়। আন্তার্জাতিক সাংবাদিক, মুক্তচিন্তক ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রবল আপত্তির মুখেও কর্তত্ববাদী সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’টি পাশ করে এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর অর্জনে সক্ষম হয়।

এর মধ্যে র‌্যাব কর্তৃক ৩৭ জন গ্রেফতার হয়া যাদের মধ্যে তরুণ ইউটিউবার, অনলাইন কর্মী এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকও ছিলেন। একই সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ডিভিশন এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। গত বছর অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে এবছর জানুয়ারির ৯ তারিখের মধ্যে এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

এসমস্ত ঘটনাগুলোরর মধ্যে বেশকিছু ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তথ্য অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিই বিরোধী রাজনীতি কিংবা মতাদর্শের ছিলেন। জানুয়ারির ১ তারিখ পুলিশি খুলনা থেকে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে নির্বাচনের ফলাফলের ত্রুটি তুলে ধরার জন্য। আবার টিভিতে মন্তব্য করায় গ্রেফতার করা হয় ডেইলি নিউ ন্যাশনের প্রকাশক মইনুল হোসেনকে। অন্যদিকে ১০ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য করায় ভোলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে নানা অভিযোগে, কখনো পুর্বপরিকল্পিতভাবে অনলাইন কর্মীদের গ্রেফতার করা হয় কিন্তু সরকারি প্রোপাগান্ডা চালানো কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও ফেসবুক সেরকম ১৫ পেজ শনাক্ত করেছিল। যার ফলে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নিরাপত্তার পরিবর্তে শ্রেফ বিরোধীদের দমনের অস্ত্র হয়ে উঠেছে।