আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা থেকে ছিটকে যাচ্ছে ভারত

আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা থেকে ছিটকে যাচ্ছে ভারত

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতকে অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো। তালেবান ইস্যুতে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের রাজনীতি ও নিরাপত্তা নীতির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আলেজান্দ্রা আলভার্গঞ্জালেস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান সরকারের নেতৃত্বাধীন যে শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে’, সেখানে ভারত আলোচনায় অংশ নিতে পারেনা, কেননা পাকিস্তান এখানে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এখন আফগানিস্তানে ভারতের একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। কিন্তু এটি একটি আফগান মালিকানাধীন প্রক্রিয়া এবং এটি এভাবেই রাখা উচিত” আলভার্গঞ্জালেজ বলেন।

যখন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সাথে লড়াই করতে সেনা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছিল, তখন ভারত তা নাকচ করে দেয় এবং বলে যতক্ষণ না আফগানিস্তান সরকার তাদের এই বিষয়ে আমন্ত্রণ জানায়। বর্তমানেও তারা একই অবস্থানে রয়েছে।

তবে ভারত জানে যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে এই আলোচনায় করছে কিন্তু পাকিস্তানের উপস্থিতির কারণে তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার টিসেএ রাঘবান বলেছেন, “এটা পরিস্কার যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পক্ষ থেকে আলোচনা করছে। ন্যাটোর এই বিষয়ে কোন ধারণা নেই যে কি হচ্ছে এবং কি আলোচনা চলছে। আমি পাকিস্তানের সাথে একমত যে- পাকিস্তানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে”।

তিনি আরও বলেন, “সমস্যা হচ্ছে তালেবান আফগান সরকার ব্যতীত অন্য সকলের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত, এবং আফগানিস্তান সরকার কর্তৃক এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আমন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত ভারত সেই আলোচনাগুলির অংশ হতে পারে না। সবশেষে, আফগানিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ”।

এমনকি ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতও আলোচনা থেকে ভারতের দূরে থাকার বিষয়য়ে ঈঙ্গিত করেছেন।

সুতরাং এটি স্পষ্ট যে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনায় প্রধান খেলোয়াড় পাকিস্তান আর সে আলোচনা থেকে পুরোপুরি ছিটকে যাচ্ছে ভারত। দেখার বিষয় ভূরাজনৈতিকভাবে ভারত কতদিন আর দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারে?