৭৫’র পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় স্বয়ং মোহাম্মদ নাসিম

৭৫’র পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় স্বয়ং মোহাম্মদ নাসিম

শপথ নিয়ে বিতর্ক ও উদ্যমের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে যার যার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত মন্ত্রীরা। একতরফা দমননীতির আশ্রয়ে নির্বাচনের ফল নিজেদের করে নিয়ে খানিকটা নির্ভারই থকার কথা ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের। নিজেদের বাছাইকরা বিদেশি পর্যবেক্ষকেরাও গেয়ে দিয়েছেন সাফাই। কিন্তু তারপরও শঙ্কায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের মাস না পেরোতেই শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বিপর্যস্ত সরকার। এরই মধ্যে দলের সিনিয়র নেতা আশঙ্কা করছেন ৭৫’র পুনরাবৃত্তির!

আজ সোমবার দুপুরে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশনে প্রতিথযশা রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “৭৫’র আগেও আমাদের অনেক বড় বিজয় এসেছিল। এর পরেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি”। তাহলে কি সরকার সেরকম কিছুর আশঙ্কা করছেন, নাকি নিজেদের নেতারাই অভ্যূত্থানের উস্কানি দিচ্ছেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, “এবারও বড় বিজয়ে বেশি খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।”

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “এদেশে আর কোনোদিনও সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মৌলবাদ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে প্রতিবারই এদেশের সরকার হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার।”

প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যে এক তরফা নির্বাচন দিয়ে জয়ী হয়েছে তাতে জনগণের প্রতিক্রিয়ারই ভয় পাচ্ছে। না হলে অন্তত প্রেসিডিয়াম সদস্যের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন দলীয় নেতা ৭৫’র মতো ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করতেন না।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া, ভোটগ্রহণের আগে বাক্স ভরে ফেলার মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়; যেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন নিয়ে ভূমিধ্বস জয় পায়। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৯৩টি আসন।