ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বীন সালমান এর বৈঠকের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বেশ আগে থেকেই। তবে এবার জানা যাচ্ছে তাদের বৈঠকের গোপন প্রস্তুতির খবর। বৈঠক সার্থক করতে মিশরের কায়রোতে গত ২৫ দিনে ৩ বার বৈঠক করেছে সৌদি ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। গতকাল মিশরের কূটনৈতিক কর্তৃপক্ষ এই খবর নিশ্চিত করেছে।
আরবি দৈনিক খালিজ অনলাইনের তথ্যমতে জানা যায় দুই নেতার বৈঠক সার্থক করতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সেদেশের কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। এই বৈঠক নিয়ে আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেছে মিশর, আমেরিকার কর্মকর্তারা। সালমান ও নেতানিয়াহুর আসন্ন সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে বৈঠকে নানান বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন দেশগুলোর কর্মকর্তারা। তবে তাদের আলোচনায় বারবার উঠে আসে ইসরায়েলের সাথে সৌদির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার প্রয়াস এবং ইরানকে মোকাবেলা করার জন্য দুদেশের ঐক্য ভাবনা। মিশরের সূত্রে আরো জানা গিয়েছে সালমান ও নেতানিয়াহুর ঐ বৈঠক নিয়ে সৌদির ব্যাপক উৎসাহের কথাও।
সৌদির তথ্য মতে জানা যায় সৌদি আরব যেকোন মূল্যেই ইসরায়েলের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর। তারা আরো জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর সাথে ইসরায়েলের সুসম্পর্ক স্থাপনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় তারা।
এদিকে গতমাসেই ইরান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে কয়েক মাসের মধ্যেই সৌদির সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসরায়েল। ওই প্রতিবেদনে সংশয় প্রকাশ করা হয় যে সৌদির সাথে শক্তিশালী সম্পর্কের জের ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আরো ব্যাপক সহিংসতা চালাতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে ইসরায়েলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে তাদের (সৌদির) গ্রহণযোগ্যতাই নষ্ট করবে কারন ঐতিহাসিক ভাবেই কোন মুসলমান বা মুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে কোন সম্পর্ক মেনে নিবে না।