এবার কারখানা বন্ধের ও মজুরি না দেওয়ার হুমকি দিল বিজিএমইএ

এবার কারখানা বন্ধের ও মজুরি না দেওয়ার হুমকি দিল বিজিএমইএ

আগামীকালের মধ্যে শ্রমিকেরা কাজে না ফিরলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আজ দুপুরে বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানায় সে সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন ‘শ্রমিক ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে বলছি,আপনারা কর্মস্থলে ফিরে যান, উৎপাদন কাজে অংশগ্রহণ করুণ। আর যদি আগামীকাল থেকে আপনারা কাজ না করেন, তাহলে আপনাদের কোন মজুরি দেয়া হবে না এবং ওই কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

এদিকে আজ বিকেলে সচিবালয়ে নতুন মজুরি কাঠামো সমস্যা নিরসনে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ছয়টি গ্রেডে নতুন মজুরির প্রস্তাব রাখা হয়। নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী কয়েকটি গ্রেডের মজুরি সকল শ্রমিক মেনে না নেওয়াই তা নতুন করে সমন্বয়য় করা হয়েছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয় এর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় কমিটির ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন সহ অনেকেই। তবে বিভিন্ন গ্রেডের ন্যূনতম বেতন বাড়লেও শ্রমিকদের অনেক দাবি নিয়েই সেখানে কোন আলোচনা করা হয়নি।

অন্যদিকে আজও রাজধানীর কিছু রাস্তা অবরোধ করে রাখে পোশাক শ্রমিকেরা। তবে মালিক পক্ষের এমন হুমকির পর শ্রমিকদের অবস্থান কি হতে পারে তা জানা না গেলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন মালিক পক্ষের এমন হুমকি শ্রমিকদের আরো ক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে। তাছাড়া বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্যে যে কারখানা বন্ধ এবং মজুরি না দেও্যার কথা বলা হয়েছে সেখানে কারখানা বন্ধের ব্যাপারটা আইনত হলেও মজুরি না দেওয়ার ব্যাপারটা অনৈতিক এবং অমানবিক বলেই মনে করছেন তারা।