দামেস্কের বিমানবন্দরে ইসরায়েলের মিসাইল হামলা

দামেস্কের বিমানবন্দরে ইসরায়েলের মিসাইল হামলা

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বিমানবন্দরে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। যদিও সিরিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনী আগেই থেকেই এই হামলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল এবং তারা অধিকাংশ মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

গতকাল রাত সোয়া এগারোটা বা আন্তর্জাতিক সময় ২১:১৫ (জিএমটি) টার সময় হামলাটি করা হয়। সিরিয়ান সামরিক বাহিনীর বরাতে সে দেশের সংবাদ সংস্থা সানা জানায় “সিরিয়ান বাহিনী হামলা সহজভাবেই প্রতিহত করতে সক্ষম হয় তবে ইসরায়েলি ওই হামলায় বিমানবন্দরের ভেতরকার একটি ওয়্যারহাউজ ধ্বংস হয়েছে।”

সেদেশের রাষ্ট্রীয় ঐ সংবাদমাধ্যম পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরো জানায় যে বিমান বন্দরে সকল ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবেই ওঠা নামা করেছে এবং বিমানবন্দরের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল।

হামলার সরাসরি ফুটেজগুলো সিরিয়ার গণমাধ্যমগুলোয় দেখানো হয়। ছবিগুলো সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর এবং বিমানবন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। রাতে সেই হামলায় দামেস্কের আকাশ উজ্জ্বল হয়ে আসে। কিছু ভিডিওতে মারাত্মক বিস্ফোরণের আওয়াজও শোনা গিয়েছে।

ইসরায়েল এই হামলা করে মূলত সিরিয়ার এই যুদ্ধে ইরানকে প্রতিহত করার জন্য। ২০১১ সাল থেকে সংগঠিত এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইরান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করে আসছে। ইরানের সৈন্যবাহিনীর বেশিরভাগই অবস্থান করছে এই দামেস্ক শহরেই।

দ্যা সিরিয়ান অবসার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, “ইরানি বাহিনী এবং লেবানিজ হিজবুল্লাহ বিদ্রোহীদের দমাতেই ইসরায়েল মূলত দু’টি এলাকা আক্রমণের জন্য নির্ধারণ করেছে। এলাকা দু’টি হল দামেস্কের বিমানবন্দর এবং রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত কিসওয়েহ অঞ্চল।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরান যেন কোনভাবেই সিরিয়ায় তাদের সামরিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে ইসরায়েল বদ্ধপরিকর।

এর আগে সিরিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল ইসরায়েল গত ২৫শে ডিসেম্বরে সিরিয়ায় মিসাইল হামলা চালায় এবং সিরিয়ান বাহিনীর তিনজন সৈন্য সেই হামলায় আহত হয়।

অন্যদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইসরায়েলের একজন জৈষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছিলো যে গত দু’বছরে ইরানকে লক্ষ্যকরে তাদের বাহিনী সিরিয়ায় দু’শোবারেরও অধিক হামলা চালিয়েছে।